পাঞ্জাব কিংস: ১৩৭/১০
কেকেআর: ১৪১/৪
সেই মাসল রাসেল, আর স্বপ্নের ফর্মে থাকা উমেশ যাদব। জোড়া ঝড়ে খড়কুটোর মত উড়ে গেল পাঞ্জাব কিংস।
আরসিবি ম্যাচের পর ফিটনেস নিয়ে প্ৰশ্ন উঠে গিয়েছিল। টানা চার ওভার-ও বোলিং করতে পারেননি। পাঞ্জাব ম্যাচে তাঁর দলে থাকা নিয়েই সংশয় ছিল। তবে কেকেআর পাশে দাঁড়ায় রাসেলের। তাঁর বোলিংয়ের ওপর চাপ কমাতে শিভম মাভিকে প্ৰথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গত তিন IPL সিজনেও এত উইকেট পাননি! এবার ৩ ম্যাচেই কামাল বিধ্বংসী উমেশের
নাইটদের এই ভরসার যোগ্য প্রতিদান দিলেন মাসেল রাসেল। কঠিন সময় ব্যাট করতে নেমে পুরোনো বিধ্বংসী অবতারে ধরা দিলেন ক্যারিবীয় সুপারস্টার। ৩১ বলে ৭০ রানের পাওয়ার হিটিংয়ে অঘটন ঘটার সুযোগই দিলেন না রাসেল। ১৩৮ তাড়া করে কেকেআর সেই টার্গেট পেরোল ৩৩ বল এবং হাতে ছয় উইকেট নিয়ে।
স্কোরবোর্ডে টার্গেট ছিল সামান্য। মাত্র ১৩৮। ওয়াংখেড়ের পিচে অল্প এই রান তাড়া করতে গিয়ে যথেষ্ট বিপাকে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। পাওয়ার প্লে-তে জোড়া ওপেনারকে হারানোর পরে ৭ ওভারের মধ্যেই ৪ উইকেট খুঁইয়ে ফেলে নাইটরা। শ্রেয়স আইয়ার ১৫ বলে ২৬ করে ফেরার পরে আরও বিপাকে পড়ে যায় নাইটরা।
রাবাদা থেকে রাহুল চাহার- ক্রমশ ভয়ানকভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন পাঞ্জাবকে। তারপরেই খেলা একার হাতে ফিনিশ করে দেন রাসেল। স্বদেশীয় স্মিথ থেকে লিয়াম লিভিংস্টোন, আর্শদীপ সিং- রাসেলের ব্যাটিং প্রহার থেকে ছাড়া পেলেন না কেউই। ৭০ রানের ইনিংসে রাসেল হাঁকিয়ে গেলেন ৮ টা ছক্কা! বাউন্ডারি যেখানে মাত্র দুটো।
আরও পড়ুন: জাদেজা ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’, মাঠে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধোনিই! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সিনিয়র জাদেজা
রাসেলকে যোগ্য সহায়তা করলেন স্যাম বিলিংস। ২৩ বলে ২৪ করে।
টস জিতে অধিনায়ক শ্রেয়স বোলিং নিতে দ্বিধা করেননি শিশির ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে। আর প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব কিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩৭ রানে। পুরো ২০ ওভার-ও টিকতে পারেনি কিংসরা। ১৮.২ ওভারে খতম।
পাওয়ার প্লে-তে দুরন্ত বোলিংয়ের ট্র্যাডিশন বজায় রেখে উমেশ প্ৰথম ওভারেই ফেরত পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ককে। এর পরে নবম ওভারে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হতে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনকে (১৬ বলে ১৯) আউট করেন। ১৫ তম ওভারে জোড়া ঝটকা দেন তিনি। একই ওভারে পরপর আউট করেন হরপ্রীত ব্রার এবং রাহুল চাহারকে। ৪ ওভারে দিনের শেষে এক ওভার মেডেন সহ উমেশের ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার। এটাই তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২৪ রানের বিনিময়ে চার উইকেট।
পাঞ্জাবের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করে যান তিন নম্বরে নামা ভানুকা রাজাপক্ষে। ৯ বলে ৩ বাউন্ডারি, ৩ ওভার বাউন্ডারি সমেত ঝড় তুলে লঙ্কান তারকা করে যান ৩১। শেষদিকে কাগিসো রাবাদা ১৬ বলে ২৫ রান করে কোনওরকমে স্কোর ১৩০ পার করে দেন।
কেকেআর প্ৰথম একাদশ:
অজিঙ্কা রাহানে, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, স্যাম বিলিংস, নীতিশ রানা, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, টিম সাউদি, শিভম মাভি, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী