সিএসকে: ২০২/২
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৮৯/৬
নেতৃত্বে বদল। ফলাফলও বদলে গেল সিএসকের। অধিনায়ক হিসাবে ধোনির প্রত্যাবর্তন ম্যাচেই জিতল সিএসকে। রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং ডেভন কনওয়ের ম্যারাথন ওপেনিং পার্টনারশিপে ভর করে সিএসকে ১৩ রানে হারিয়ে দিল ফর্মে থাকা হায়দরাবাদকে। সিএসকের ২০২ এর জবাবে হায়দরাবাদ স্কোরবোর্ডে তুলল ১৮৯।
টসে জিতে হায়দরাবাদ ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন চেন্নাইকে। যা পুরোপুরি ব্যাকফায়ার করে। হায়দরাবাদের দুর্ধর্ষ বোলিং আক্রমণকে মাটিতে নামিয়ে আনেন রুতুরাজ-ডেভন কনওয়ে। দুজনে ১৮২ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে যান। যা আইপিএলে সিএসকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: প্ৰথম ম্যাচেই ঝকঝকে পারফরম্যান্স! নীতা আম্বানি ফোন করলেন উঠতি সুপারস্টারকে
চলতি মরশুমে একদমই ফর্মে নেই রুতুরাজ। তবে হায়দরাবাদ ম্যাচে নিজের জাত চিনিয়ে ৫৭ বলে ৯৯ করে গেলেন তারকা। হাফডজন করে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ডেভন কনওয়ে ৫৫ বলে ৮৫ করলেন। কেকেআরের বিরুদ্ধে প্ৰথম ম্যাচ খেলার পরে সিএসকে একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেই নজরকাড়া ইনিংস খেলে গেলেন তিনি।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স শুরুতে ঝড় তুলে দিয়েছিল কেন উইলিয়ামসন এবং অভিষেক শর্মার ব্যাটে ভর করে। দুজনে পাওয়ার প্লে-তে ৫৮ তুলে দেন। তবে হায়দরাবাদকে ধাক্কা দিয়ে যান মুকেশ চৌধুরি পরপর বলে ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মা এবং রাহুল ত্রিপাঠিকে আউট করে। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আইডেন মারক্রামও। ১০ বলে ১৭ করার পরে তিনি মিচেল স্যান্টনারের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩৭ বলে ৪৭ কর একা লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তবে ডোয়েন প্রিটোরিয়াস লেগ বিফোর করে দেন তারকাকে।
১৮তম ওভারে মুকেশ চৌধুরি শশাঙ্ক সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দরকে আউট করতেই সিএসকের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। নিকোলাস পুরান ২৮ বলে ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করলেও তা ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২০ ওভারে ১৮৯/৬-এ থেমে যায় হায়দরাবাদ ইনিংস। চার উইকেট নিয়ে যান মুকেশ চৌধুরি।