/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/Rinku-Singh-1.jpg)
বছরের পর বছর ধরে কেকেআরের জার্সিতে খেলে বহু অখ্যাত তরুণ পাদপ্রদীমের আলোয় উঠে এসেছেন। চলতি আইপিএলেই নাইট রাইডার্সের হয়ে যেমন চমকে দেওয়ার মত পারফর্ম করেছেন রিঙ্কু সিং। সুযোগ পেতেই দু হাত দিয়ে তার সদ্ব্যবহার করেছেন তারকা। দেশের ক্রিকেট মহলে দ্রুত জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়ে ফেললেও এখনও রিঙ্কু ভাঙাচোরা বাড়িতেই থাকছেন।
আইপিএলে মুহূর্তেই আর্থিক দৈন্যতা ঘুচিয়ে ফেলা যায়। ২০১৮ থেকে আইপিএলে খেললেও সেভাবে সুযোগ পাননি নিয়মিত। চলতি আইপিএলেও কেকেআর একাদশে প্ৰথম এগারোয় ছিলেন না। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর ওপর ভরসা রাখার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২৩ বলে ৪২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে গিয়েছিলেন। সেই প্ৰথমবার রিঙ্কু নিজের প্রতিভা সর্বসমক্ষে জাহির করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার হলেও সেভাবে তাঁকে নিয়ে কখনই আলোচনার অবকাশ ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ঋদ্ধিমান একগুঁয়ে, ওঁকে ছেড়ে দিতে হবে! বোমা ফাটিয়ে বিষ্ফোরক বাংলার কর্তা
অখ্যাত থেকে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার এভারেস্টে আহোরন মোটেই সহজ ছিল না। অন্যান্য বাবা-মায়ের মতই রিঙ্কুর পরিবার চেয়েছিল ভাল করে পড়াশুনা করে চাকরি জুটিয়ে নিক তাঁদের পুত্র। তবে রিঙ্কুর সুপ্ত প্রতিভার সন্ধান পাওয়ার পরে পুত্রের স্বপ্নপূরণের পথে আর বাধা হয়ে দাঁড়াননি বাবা-মা।
রিঙ্কুর বাবা খান চাঁদ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "আমার মত ও হয়ে উঠুক, এটা কখনই চাইতাম না। চাইতাম পড়াশুনা করে চাকরি-বাকরি করুক। সেই কারণে প্রাথমিকভাবে ক্রিকেট খেলতে দিতে চাইতাম না। ক্রিকেট খেলায় পরিবারের সবথেকে উৎসাহী হওয়ায় বেশির ভাগ সময় পিটুনিও হজম করতে হয়েছে।"
পুত্রের আইপিএলে অভাবনীয় সাফল্যের পরেও রিঙ্কুর বাবা-মা পুরোনো জরাজীর্ণ বাড়িতেই থাকছেন। রিঙ্কু নিজে তিনতলা বাড়ি কিনেছেন সম্প্রতি। তবে বাবা-মা রয়ে গিয়েছেন অতীত-মাখা বাড়িতেই।
রিঙ্কু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানাচ্ছেন, "বাবাকে নতুন বাড়িতে থাকার জন্য বলেছিলাম। তবে বাবা এই ভাঙাচোরা বাড়িতেই থাকতে চান। ৩৫ বছর ধরে এই বাড়িতে উনি থেকেছেন। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়েছেন।"
প্রতিদিন অনুশীলনে যাওয়ার আগে বাবা-মার সঙ্গে পুরোনো বাড়িতে দেখা করে একসঙ্গে খাবার সারেন। নিলামে ৮০ লক্ষ টাকার চুক্তিতে আপাতত রিঙ্কুর জীবন যাপনে পরিবর্তন আসতেই পারে। তবে নতুন জীবনযাত্রায় এখনই মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নন রিঙ্কুর বাবা-মা।
Read the full article in ENGLISH