আরসিবি: ১৮৯/৫
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৭৩/৭
কার্তিককে থামানোই যাচ্ছে না আইপিএলে। ফের একবার বিধ্বংসী ব্যাটিং করে টি২০ বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের বার্তা দিয়ে রাখলেন। শনিবার ওয়াংখেড়ে মাতিয়ে কার্তিকের ব্যাট থেকে বেরোল ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। পাঁচটি করে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে বাকি সকলকে ম্লান করে দিলেন তারকা।
কার্তিকের ব্যাটে ভর করেই আরসিবি স্কোরবোর্ডে ১৮৯ তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নারের ৩৮ বলে ৬৬ রান সত্ত্বেও দিল্লি ১৭৩/৭-এর বেশি করতে পারল না। ঋষভ পন্থ ১৭ বলে ৩৪ রান করে শেষদিকে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। তবে তা জয়ের জন্য যথার্থ ছিল না।
আরও পড়ুন: ৪,৪,৪,৬,৬,৪! কার্তিকের বারুদে ব্যাটে ঝাঁঝরা মুস্তাফিজুর, ছক্কায় ছক্কায় মাতালেন মাঠ, দেখুন ভিডিও
দিল্লি ব্যাটিংকে ভাঙলেন এদিন জস হ্যাজেলউড এবং মহম্মদ সিরাজ। পৃথ্বী শ এবং ওয়ার্নার মিলে ওপেনিংয়ে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে যান। ডেভিড ওয়ার্নার হাফসেঞ্চুরি করে যখন আউট হন, তখন স্কোরবোর্ডে ৯৪/২। এরপর মাঝের ওভারে পরপর দু-ওভারে মিচেল মার্শ, রভম্যান পাওয়েল, ললিত যাদবকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় দিল্লি।
ব্যাট করতে নেমে আরসিবির শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুই ওপেনার ফাফ ডুপ্লেসিস এবং অনুজ রাওয়াত আউট হয়ে গিয়েছিলেন। কোহলির ব্যাট হাতে রানের খরা অব্যাহত। এদিনও ললিত যাদবের দুরন্ত থ্রো-য়ে বিরাটকে চলতি আইপিএলের দ্বিতীয়বার রান আউট হতে হল। অন্যপ্রান্তে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়লেও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রান রেট বজায় রাখার কাজ করে গিয়েছেন। অজি তারকা ৩৪ বলে ৫৫ করে টানেন দলকে।
গোটা টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত কার্তিক কেবল চেন্নাই ম্যাচেই আউট হয়েছেন। শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে কার্তিক ৯৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে গেলেন। শাহবাজ-ও ২১ বলে ৩২ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান। কার্তিক-শাহবাজের ষষ্ঠ উইকেটের এই পার্টনারশিপ আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সেরা।