রাজস্থান রয়্যালস: ১৬৯/৩
আরসিবি: ১৭৩/৬
নিলামে দল রিটেন করেনি। এমনকি তাঁকে নিলামের টেবিল থেকে কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি। যুজবেন্দ্র চাহালের কাছে তাই আরসিবির বিরুদ্ধে অনেক কিছুই প্রমাণ করার ছিল। ওয়াংখেড়েতে জ্বলে উঠে তাই কার্যত একার হাতে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। তবু শেষরক্ষা হল না। চাহালের রাজস্থান আরসিবির বিরূদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে হেরে বসল।
রাজস্থানের ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করে আরসিবি জিতে গেল হাতে চার উইকেট এবং পাঁচ বল নিয়ে। ওভার পিছু সাড়ে আটের বেশি টার্গেট তাড়া করে আরসিবিকে ওপেনিং জুটিতে রাওয়াত-ডুপ্লেসিস ৫৪ পর্যন্ত তুলে নিশ্চিন্ত প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তবে পাওয়ার প্লে-র পরের চার ওভারে টানা চারটে উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালোর।
আরও পড়ুন: KKR-এর বিরুদ্ধে বিরাট বদল মুম্বই স্কোয়াডে, সুপারস্টারকে বুধবার ফেরাচ্ছেন রোহিতরা
নিজের প্ৰথম দুই ওভারেই চাহাল আউট করে যান ফাফ ডুপ্লেসিস এবং ডেভিড উইলিকে। মাঝে অনুজ রাওয়াতকে ফেরান নভদীপ সাইনি। বিরাট কোহলিও নবম ওভারে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
স্কোরবোর্ডে ৫৫/০ থেকে ৬২/৪ হয়ে গিয়ে রীতিমত ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল আরসিবি। রাদারফোর্ডকে বোল্ট ফেরানোর ওরে আরও করুণ দশা হয়ে যায় আরসিবির। সেখান থেকে ডুপ্লেসিসের দলকে ম্যাচে ফেরায় বাংলা-কেকেআর কানেকশন। বাংলার শাহবাজ আহমেদ (২৬ বলে ৪৫) এবং কেকেআর প্রাক্তনী দীনেশ কার্তিক (২৩ বলে ৪৪) পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে যান।
শাহবাজ শেষমেশ বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেও কার্তিক হর্ষল প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান। ৪ ওভারে ১৫ রানে ২ তুলে নিয়েও চাহালের প্রতিশোধের বৃত্ত শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হল না।
তার আগে রাজস্থানকে এদিন ফের টানেন জস বাটলার। আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করার পরে বাটলারের ব্যাট থেকে আরসিবি ম্যাচেও ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। ৪৭ বলে ৭০ রানে ফের একবার দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে যান তারকা। সেইসঙ্গে দেবদূত পাড়িক্কল (৩৭) এবং শিমরন হেটমায়ারও (৪২) দলকে টানতে সাহায্য করেন।