শেষ দু-বলে দরকার ছিল ১২ রান। তবে তাও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি রাহুল তেওটিয়ার কাছে। পরপর দু-বলে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে অসম্ভব জয় ছিনিয়ে এনেছেন রাহুল তেওটিয়া। ব্র্যাবোর্নে ফাইনাল ওভারে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে দুঃস্বপ্নের বোলিং করে গিয়েছেন ওডিয়ন স্মিথ।
শেষ তিন বলে দরকার ছিল ১৩ রান। ওভারের চতুর্থ বলে মিলারকে ফেরত পাঠানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল স্মিথের কাছে। ফাঁকা উইকেট পেয়েও থ্রো করে রান আউট করতে পারেননি। এই ফাঁকেই মিলার স্ট্রাইক চেঞ্জ করে নেন তেওটিয়ার সঙ্গে। আর এরপরেই রোমহর্ষক ফিনিশ। শেষ দু-বলে পরপর ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তেওটিয়া।
আরও পড়ুন: আউট হয়েই মেজাজ গরম, প্রকাশ্যেই মিলারের ওপর ফেটে পড়লেন ক্যাপ্টেন পান্ডিয়া, দেখুন ভিডিও
কার্যত ম্যাচ হাতের মুঠোতেই ছিল পাঞ্জাবের। তবে একদম শেষ লগ্নে ফস্কে যায় ম্যাচ। রাহুল তেওটিয়ার ক্যামিও ইনিংসে। স্ট্যাম্পে বল লাগালে মিলারের সঙ্গে স্ট্রাইক বদলাতে পারতেন না তেওটিয়া। সেক্ষেত্রে হয়ত ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। কারণ সেক্ষেত্রে নতুন ব্যাটসম্যানকে স্ট্রাইক নিতে হত, তেওটিয়া নন। আইপিএলের নতুন নিয়ম এমনটাই বলছে।
এমন জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করা রীতিমত কষ্টের। পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল এই হারে ভাবলেশহীন থাকলেও, শেষ ওভারে বল করা ওডিয়ন স্মিথ ম্যাচের পরেই ভেঙে পড়েন। তবে ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক স্মিথকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন। ম্যাচ শেষেই মায়াঙ্ককে দেখা যায় ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারকে স্বান্তনা দিচ্ছেন।
ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মায়াঙ্ক আগারওয়াল জানান, স্রেফ একটা খারাপ দিন গিয়েছে স্মিথের। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা সবসময় তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। "শেষ ওভারের খেলা যে কোনও দলের হতে পারে। আমরা স্মিথকে পূর্ণ সমর্থন করছি। একদম সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। ওঁর একটা কঠিন ম্যাচ গেল। তবে এরকম হতেই পারে। আমরা ওঁকে একশো শতাংশ ব্যাক করছি। ক্রিকেটে যেকোনও ফলাফল হতেই পারে। এরকম হর হজম করা কঠিন। তবে দলে আগেই কথা হয়েছে, কঠিন পরিস্থিতিতে সকলে সকলের পাশে দাঁড়াব। ওঁর একটা খারাপ দিন যেতেই পারে।"