গুজরাট টাইটান্স: ১৫৬/৯
কেকেআর: ১৪৮/৮
আন্দ্রে রাসেলের ঝড় উঠল। সেই ঝড় সত্ত্বেও কেকেআরকে হারিয়ে গুজরাট টাইটান্স শীর্ষে উঠে গেল। মারমার কাটকাট ম্যাচে ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে বল হাতে ভেলকি দেখানোর পরে ব্যাট করতে নেমে রাসেল একার হাতে প্রায় ম্যাচ খতম করে দিয়েছিলেন। তবে ফিনিশিং লাইন পেরোতে পারলেন না। শেষ ওভারে নাইটদের ধাক্কা দিলেন সেই কেকেআর-প্রাক্তনী লকি ফার্গুসন। দুর্ধর্ষ ক্যাচে রাসেলকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই কার্যত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। টিম সাউদি এবং উমেশ যাদব পারেননি দলকে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে দিতে। গুজরাটের ১৫৬/৯-এর জবাবে কেকেআর থামল ১৪৮/৮-এ। ৮ রানে ম্যাচ জিতে শীর্ষে পৌঁছে গেল হার্দিক বাহিনী।
গুজরাটের কাছে হারে ফের একবার নাইটদের ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল বেরিয়ে এল। স্যাম বিলিংস ফিট হয়ে ওঠায় ফিঞ্চের বদলে নামিয়ে দেওয়া হয় ইংরেজ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। বাদ পড়েন শেলডন জ্যাকসন। তবে বিলিংস-নারিন ওপেনিং জুটি ব্যর্থ। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে কেকেআর ৩৪/৪ হয়ে ধুঁকছিল কেকেআর। ফিরে গিয়েছিলেন নারিন, বিলিংস, ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার, নীতিশ রানা।
আরও পড়ুন: বাউন্ডারি লাইনের ধারেই পন্থ-বাটলার ধুন্ধুমার! উত্তপ্ত ভিডিও সামনে আসতেই বিরাট বিতর্ক
মহম্মদ শামি ফেরান নাইটদের দুই ওপেনারকেই। কেকেআর মিডল অর্ডারে স্ট্রিমরোলার চালান তরুণ ইয়াশ দয়াল এবং লকি ফার্গুসন। ক্যাপ্টেন আইয়ার সহ ক্রিজে টিকে যাওয়া রিঙ্কু সিংকেও ফেরান দয়াল। অন্যদিকে, ফার্গুসনের শিকার নীতিশ রানা।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আর সামাল দিতে পারেননি রিঙ্কু সিং (২৮ বলে ৩৫), ভেঙ্কটেশ আইয়ার (১৭ বলে ১৭)। ৯৮/৬, ১০৮/৭ হয়ে যাওয়ার পরে কেকেআরকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন মরিয়া রাসেল।
হাফডজন ছক্কা সহ এক বাউন্ডারিতে ম্যাচের মোড় একাই প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন রাসেল, ২৮ বলে ৪৫ করে। অন্যদিকে, উমেশ যাদবও যোগ্য সহায়তা করছিলেন।
শেষ ৩ ওভারে নাইটদের জন্য দরকার ছিল ৩৭ রান। ক্রিজে রাসেল। ম্যাচ প্রায় হাতের মুঠোতেই ছিল কেকেআরের। শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় জয়ের জন্য ১৮ রান।
প্ৰথম বলেই আলজেরি জোসেফকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই অঙ্ক আরও সহজ করে দেন। তবে দ্বিতীয় বলেই অঘটন। জোসেফের শর্ট বলে হাঁকিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে ফার্গুসনের দুর্ধর্ষ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ক্যারিবিয়ান সুপারস্টারকে। তারপরে আর হয়নি।
আরও পড়ুন: একই ছাদের তলায় দুই স্ত্রী-র সঙ্গে বাস! অরুণ লালের দ্বিতীয় বিয়েতে কী বলছে আইন
তার আগে টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে টানেন হার্দিক পান্ডিয়া। রাসেল এক ওভারে ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করে গুজরাটের ব্যাটিং ধসিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরেক্যাপ্টেন পান্ডিয়ার ৪৯ বলে ৬৭ করে দলকে স্লো পিচে চ্যালেঞ্জিং ১৫৬-এ পৌঁছে দেন।
আন্দ্রে রাসেলের ৪ উইকেট এবং টিম সাউদির (২৪/৩) বোলিংয়ে কার্যত ধসে পড়েছিল গুজরাট ব্যাটিং। হার্দিক সেখান থেকেই দলকে উদ্ধার করে যান।