গুজরাট টাইটান্স: ১৯২/৪
রাজস্থান রয়্যালস: ১৫৫/৯
আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। রাজস্থান ম্যাচে সেই ক্ষোভ সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন তিনি। ক্যাপ্টেন পান্ডিয়ার ৫২ বলে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংসেই কার্যত উড়ে গেল তুখোড় ফর্মে থাকা রাজস্থান রয়্যালস। টাইটান্সদের ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমে রয়্যালসরা গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৫ রানে। গুজরাটের জয় এল ৩৭ রানে।
হার্দিকের দলে বল হাতে ভেলকি দেখালেন লকি ফার্গুসন। ৩ ওভারে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে তুলে নিলেন তিন-তিনটে উইকেট। দুর্ধর্ষ ফর্মে ব্যাট করতে থাকা জস বাটলারকে (২৪ বলে ৫৪) যেমন ফেরালেন কিউয়ি পেস সেনসেশন, তেমনই তাঁর শিকার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রিয়ান পরাগ।
আরও পড়ুন: কেকেআর ম্যাচে গ্যালারিতে রহস্যময়ী! ভাইরাল মেয়ের পরিচয়ের খুঁটিনাটি বের করলেন সমর্থকরাই
২০০-র কাছাকাছি রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান কখনই স্বস্তিতে ছিল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য থেকে ক্রমশ দূরে সরে যায় তাঁরা। শেষদিকে শিমরন হেটমায়ার (২৯), রিয়ান পরাগ (১৮), জিমি নিশামদের (১৭) প্রচেষ্টা মোটেই যথেষ্ট ছিল না।
লকি ফার্গুসনের ৩ উইকেটের সঙ্গেই জোড়া উইকেট দখল করেন দয়াল। হার্দিক পান্ডিয়া শেষদিকে জিমি নিশামকে আউট করে ম্যাচের যাবতীয় সম্ভবনা ফিনিশ করে দেন।
তার আগে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে মোটেই স্বস্তিতে ছিল না গুজরাট। ১৫/২ হয়ে যাওয়ার কয়েক ওভারের মধ্যে শুভমান গিল আউট হয়ে গিয়ে স্কোরবোর্ড ৫৩/৩ হয়ে যায়। সেখান থেকেই ক্যাপ্টেন পান্ডিয়া ব্যাট হাতে তান্ডবলীলা চালান। ৫২ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে হাঁকান ৮ বাউন্ডারি, ৪ ওভার বাউন্ডারি।
হার্দিককে ব্যাটিং যোগ্য সহায়তা করে যান অভিনব মনোহর (২৮ বলে ৪৩) এবং ডেভিড মিলার (১৪ বলে ৩১)। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজস্থান।