২০০৭-এর বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলীয় দলকে তর্কাতীতভাবে মেনে নেওয়া হয় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ওয়ানডে দল। টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জেতার পথে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। তবে একের পর এক কিংবদন্তি সমস্ত ক্রিকেটার বাইশ গজ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের আসন ধরে রাখতে পারেনি অজিরা। ২০১১-য় কাপ ধরে রাখতে পারেননি লি-রা। পরবর্তীকালে প্রকাশ্যে আসে ২০০৭-এর বিশ্বকাপজয়ী অজি দলের দুই সদস্য মাইকেল ক্লার্ক এবং সাইমন্ডসের মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে।
দীর্ঘ দেড় দশক পরে নিজেদের সেই সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাইমন্ডস। জানিয়ে দিলেন অর্থই দুজনের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে থাকতে পারে। দুজনের বন্ধুত্বের সেরা সময় ছিল সাইমন্ডসের কেরিয়ারের সায়াহ্নে সেই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উল্কার গতিতে উঠছেন ক্লার্ক।
আরও পড়ুন: মাঠে-গ্যালারিতে দু-জায়গাতেই নারিন, অবাক কাণ্ড কেকেআর-গুজরাট ম্যাচে, দেখুন
সাইমন্ডস এখন বলছেন, আইপিএলে তিনি মোটা অঙ্কের চুক্তি পাওয়ার পরই ক্লার্ক ঈর্ষায় ভুগতে থাকে। ঘটনাচক্রে, ২০০৮ আইপিএলের প্ৰথম মরশুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার ছিলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। "আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। ও যখন প্ৰথম জাতীয় দলে ঢোকে, আমরা বেশিরভাগ সময় একসঙ্গে ব্যাটিং করতাম। ও প্ৰথম দলে আসার পর থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ড তৈরি হয়।"
"আইপিএল যখন শুরু হল, বেশ ভালো অঙ্কের চুক্তি পেয়ে খেলেছিলাম। এতেই দুজনের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা ঈর্ষার বাতাবরণ তৈরি হয়। এমনটাই আমাকে জানায় ম্যাথু হেডেন।" ব্রেট লি-র পডকাস্টে সাইমন্ডস জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাউন্ডারি লাইনের ধারেই পন্থ-বাটলার ধুন্ধুমার! উত্তপ্ত ভিডিও সামনে আসতেই বিরাট বিতর্ক
সাইমন্ডসের আরও সংযোজন, "অর্থ মজার মজার সমস্ত কান্ড ঘটায়। এটা অবশ্যই ভালো। তবে এটা বিষময়ও হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দুজনের সম্পর্ক বিষিয়ে দেয় এই অর্থই। ওঁর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। সেই কারণে বিস্তারিতভাবে জানাচ্ছি না। ওঁর সঙ্গে বর্তমানে কোনও।সম্পর্ক নেই। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে আমি এখানে বসে মোটেই কাদা ছোড়াছুড়ি করব না।"