মাস্ট উইন ম্যাচে কেকেআর হার হজম করেছে ৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। নাইটদের হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে লখনৌ। ১৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কেকেআর ১০১ রানে গুটিয়ে গিয়েছে ১৫ ওভারের মধ্যেই। আন্দ্রে রাসেল পাঁচ ছক্কা, তিনটে চারে নাইট শিবিরে সামান্য আশা জাগালেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি। হুড়মুড়িয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় লজ্জার হার হজম করতে হয়েছে নাইট রাইডার্সকে।
অলরাউন্ডার কৃষ্ণাপ্পা গৌতমকে বসিয়ে লখনৌ সুযোগ দিয়েছিল আবেশ খানকে। তিনি কার্যত একাই নাইটদের ধসিয়ে দিলেন। ৩ ওভারে এক ওভার মেডেন সহ মাত্র ১৯ রান খরচ করে ভাঙলেন তিনি কেকেআরকে। জেসন হোল্ডারও তিন উইকেট নিলেন। পুণের এমসিএ স্টেডিয়ামে দুষ্মন্ত চামিরা, রবি বিশ্নোই, মহসিন খানও এক উইকেট দখল করেন।
শ্রেয়স আইয়ার টসে জিতে লখনৌকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠানোর পরে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডিকক (৫০), দীপক হুডার (৪১) ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৭৬ তুলেছিল।
যাইহোক, এই নিয়ে চলতি আইপিএলে ষষ্ঠ হার হজম করল কেকেআর। শেষ সপ্তম ম্যাচে এটা কেকেআরের ছয় নম্বর হার। এতে প্লে অফের স্বপ্ন কার্যত শেষ নাইটদের। হিসাব বলছে শেষ তিন ম্যাচে কেকেআর জিতলে নাইটদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হতে পারে ১৪-এ। ঘটনাচক্রে, কেকেআরের রান রেট ভীষণই খারাপ, -০.৩০৪। এমন অবস্থায় পরের রাউন্ডে ওঠা প্রচন্ড শক্ত। স্রেফ তিনটে টানা জয়ই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বাকি দলগুলোকেও শেষের কয়েকটা ম্যাচে হারতে হবে। অর্থাৎ প্লে অফে যাওয়া কেকেআরের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নেই। নিজেদের জয়ের সঙ্গেই বাকি ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে নাইট রাইডার্সকে।
বর্তমান লিগ টেবিলের অবস্থা অনুযায়ী একাধিক দল ১৪ পয়েন্টে শেষ করতে পারে। সেক্ষেত্রে নেট রানরেট বিচার্য হবে। যেখানেই কেকেআর পিছিয়ে।তবে বাকি তিন ম্যাচের একটিতে হারলেই সমস্ত সমীকরণের বাইরে চলে যাবে নাইটদের প্লে অফ খেলার ভাগ্য। সরকারিভাবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া নিশ্চিত করে ফেলবে কেকেআর।
আপাতত ভাগ্য আর ঈশ্বরের নাম জপা ছাড়া কিছু করণীয় নেই সোনালি-বেগুনি জার্সিধারীদের।