বৃহস্পতিবার রাতে ধোনি সময় ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে এনেছিলেন। ১৩ বলে ২৮ রানের ব্লকবাস্টার ইনিংসে ধোনি টাইমমেশিনে চেপে যেন সকলকে নিয়ে গিয়েছিলেন আগের দশকে। শেষ চার বলে ১৬ রান হাঁকিয়ে ধোনি অসম্ভব সমীকরণ থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
তবে বৃহস্পতিবার রাত স্রেফ ব্যাটিংয়ের জন্য নয়, ফিল্ডিং সাজিয়ে কীভাবে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানাতে হয়, সেই পাঠ আরও একবার দিয়ে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: একই ছাদের তলায় দুই স্ত্রী-র সঙ্গে বাস! অরুণ লালের দ্বিতীয় বিয়েতে কী বলছে আইন
সরকারিভাবে এখন তিনি আর চেন্নাইয়ের নেতা নন। তবে রবীন্দ্র জাদেজা কঠিন সময়ে বারবারই বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্যাপ্টেনের শরণাপন্ন হচ্ছেন। আর মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ের সময়েই ধোনি দেখিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে তর্কাতীতভাবে অন্যতম সেরা মগজাস্ত্র ধরা হয়। মুম্বই ব্যাট করার সময়ে ১৭ তম ওভারের ঘটনা। ফাঁদ ফেলে কায়রণ পোলার্ডকে আউট করলেন তিনি।
১৪ রানে সেই সময় ব্যাট করছিলেন ক্যারিবীয় পাওয়ার হিটার। একটা করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। সেই সময়েই পোলার্ডকে আউট করতে অদ্ভুত ফিল্ডিং সাজালেন ধোনি।
১৭তম ওভারে পোলার্ড ব্যাট করতে আসা মাত্রই ধোনি লং অনে শিভম দুবেকে নিয়ে এলেন। বাউন্ডারি লাইনে প্রায় স্ট্যাম্পের সোজাসুজি দাঁড় করানো হল দুবেকে। সেই সময় পোলার্ডকে বল করছিলেন মহেশ থিকসানা। শ্রীলঙ্কান স্পিনার সেই ওভারেই লেন্থ ডেলিভারি করেন। আর সেই প্রলোভন উপেক্ষা করতে না পেরেই পোলার্ড সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে হাঁকাতে যান। তবে পোলার্ডের শট বাউন্ডারি লাইন ক্লিয়ার করতে পারেনি। দুবের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিতে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: টানা ৭ ম্যাচে হার, এখনও প্লে অফে যেতে পারে মুম্বই! কীভাবে সম্ভব, জানুন অঙ্কের হিসাব
ঘটনাচক্রে, ধোনির এই ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট মনে করিয়ে দিয়েছে ২০১০-এ আইপিএল ফাইনালের কথাও। পোলার্ডকে আউট করার জন্য সেবারও ধোনি লং অফে ফিল্ডার থাকা সত্ত্বেও মিড অফে ফিল্ডার প্লেস করেন। সেবারও বোকা বনে গিয়ে পোলার্ড মিড অফে হেডেনের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিয়েছিলেন। পোলার্ড সেবার ২৭ রানে আউট হতেই ম্যাচের রাশ নিয়ে নেয় সিএসকে। শেষ পর্যন্ত আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই।
লক্ষীবারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করল সিএসকে। লিগ তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন ধোনিরা।