আইপিএলের ৪৯তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আরসিবি এবং চেন্নাই। আর হেভিওয়েট লড়াইয়ের প্ৰথম ওভারই ম্যাচের রিংটোন সেট করে দিল। নতুন বল হাতে প্ৰথম ওভারে বোলিং করতে এসে মুকেশ চৌধুরি ফাফ ডুপ্লেসিস এবং বিরাট কোহলির সামনে বেশ আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে সূচনা করলেন ম্যাচের।
আর তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে পরপর ডট দেওয়ার পরে পঞ্চম বলেই কোহলি মুকেশকে বাউন্ডারি হাঁকালেন। আর ওভারের শেষ বলে কোহলির স্ট্রেট ড্রাইভ সরাসরি পৌঁছে গেল বোলার মুকেশের হাতে। আর আগ্রাসী মুকেশ সেই বল ধরেই সোজা ছুড়লেন স্ট্রাইকিং এন্ডের উইকেট লক্ষ্য করে। যা সরাসরি আঘাত করল কোহলিকে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটকে আগেই বিদায়, এবার অন্য খেলায় নামছেন ডিভিলিয়ার্স! সামনে এল হৈচৈ ফেলা খবর
সঙ্গেসঙ্গেই অবশ্য মুকেশ কোহলির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। কোহলিও সামান্য হেসে থাম্বস আপের ইঙ্গিত দেখিয়ে দেন। কোহলি এগিয়ে এসে শট খেলায় মুকেশ রান আউট করার জন্যই স্ট্যাম্প লক্ষ্য করে বল ছুঁড়েছিলেন।
যাইহোক, কোহলি এবং ডুপ্লেসিস এদিন স্কোরবোর্ডে সচল রাখেন পাওয়ার প্লে-তে। চতুর্থ ওভারে দুজনে ১৩ রান যোগ করেন। আর পঞ্চম ওভারে দুজনে ১৮ রান তুলে পাঁচ ওভারের মধ্যেই দলকে হাফসেঞ্চুরি পার করিয়ে দেন।
সিএসকের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করেই মঈন আলি আউট করেন ফাফ ডুপ্লেসিসকে (২২ বলে ৩৮)। পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রান আউট হয়ে যান। আরসিবির দ্রুত দুই উইকেটের পতনে ম্যাচে ফিরে আসে সিএসকে।
ডুপ্লেসিসের পরে মঈন ফেরান কোহলিকেও (৩৩ বলে ৩০)। ৭৯/৩ হয়ে গিয়ে একসময় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মহিপাল লোমরোর (২৭ বলে ৪২), রজত পতিদার (১৫ বলে ২১) এবং দীনেশ কার্তিক (১৭ বলে ২৬)। আরসিবি শেষ পর্যন্ত ১৭৩ তুলে দেয় স্কোরবোর্ডে।
সিএসকের হয়ে থিকসানা ৩ উইকেট নেন। মঈনের সংগ্রহে জোড়া উইকেট।