কেকেআর: ১৬৫/৯
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১১৩/১০
বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল দুই তারকাকে। সেই দুই তারকাই পুনরায় সুযোগ পেয়ে কেকেআরকে অক্সিজেন দিয়ে গেলেন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দলকে দুরন্ত জয় এনে দিয়ে। প্ৰথমজন, ভেঙ্কটেশ আইয়ার। গত মরসুমের ওয়ান্ডার বয়। চলতি আইপিএলে এতটাই খারাপ ফর্মে ছিলেন যে টানা দুটো ম্যাচে বাইরে রাখতে বাধ্য হয় নাইট ম্যানেজমেন্ট।
দ্বিতীয় জন প্যাট কামিন্স। টি২০-র বোলার নয়, এমন অভিযোগের তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছিল অজি সুপারস্টারের জার্সিতে। কামিন্সকও বাইরে রেখে টিম সাউদিকে নিয়মিত খেলানো হচ্ছিল।
তবে নাইট সংসারে ব্রাত্য দুই তারকাই সোমবার ম্যাচের হিরো। সুযোগ পেয়েই দুজনে ঝলসে উঠলেন ব্যাটে-বলে। প্ৰথমজন ব্যাটে ২৪ বলে ৪৩ রানের ঝড় তুলে গেলেন। দ্বিতীয় জন বল হাতে ভাঙলেন মুম্বইকে। ৪ ওভারের কোটায় ২২ রানের বিনিময়ে তুলে নিলেন ২ উইকেট।
আরও পড়ুন: এই সপ্তাহেই ঠিক হবে ৭ দলের প্লে অফ ভাগ্য! এখন কোন দল কোন অবস্থায়, মিলিয়ে নিন
কেকেআরের ১৬৬ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে মুম্বই গুঁড়িয়ে গেল ১১৩ রানে। মুম্বইয়ের টপ অর্ডার শেষ করলেন সাউদি-রাসেল। ফিনিশিং টাচ দিলেন কামিন্স। প্ৰথম ওভারেই রোহিত শর্মার ফিরে যাওয়া দিয়ে শুরু। তারপরে সময় যত গড়িয়েছে মুম্বই একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছে ১৭.৩ ওভারে। বরাবরের মত বল হাতে রাসেল সোমবারেও দুরন্ত। ফর্মে থাকা তিলক ভার্মার সঙ্গেই আউট করলেন সিংকে। মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ঈশান কিষানের (৪৩ বলে ৫১)। প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে ঈশান ফেরার পরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মুম্বই ইনিংস। নাইটদের জয় আসে ৫২ রানের বড়সড় ব্যবধানে।
তার আগে টসে হেরে কেকেআর ব্যাট করতে নেমেছিল। ওপেনিং জুটিতে রাহানে (২৪ বলে ২৫)-আইয়ার ধুন্ধুমার শুরু করে দেন। দুজনে প্ৰথম উইকেটেই ৬০ রান যোগ করে যান পাওয়ার প্লের মধ্যে। দুজনে আউট হয়ে যাওয়ার পরে কেকেআরকে টানেন নীতিশ রানা (২৬ বলে ৪৩)। শেষদিকে রিঙ্কু সিং ১৯ বলে ২৩ করে অপরাজিত থাকেন। জসপ্রীত বুমরা নিজের ৪ ওভারের কোটায় ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। তবে দুর্ধর্ষ এই পারফরম্যান্স দলের ব্যাটসম্যানদের শোচনীয় ব্যর্থতায় মান্যতা পেল না, এই যা! হারলেও বুমরাই ম্যাচের সেরা।