নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে কি কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এমন জল্পনার মধ্যেই এবার শ্রেয়স মুখ খুললেন দুজনের সম্পর্ক নিয়ে। জানিয়ে দিলেন, ম্যাককালামের সঙ্গে তাঁর বন্ডিং বেশ ভাল। সেই সঙ্গে রিঙ্কু সিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন নাইট ক্যাপ্টেন।
ম্যাচের শেষে শ্রেয়স আইয়ার বলে যান, "একদমই দুঃখিত নই। কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ খেললাম এদিন। আমাদের চরিত্র এবং মানসিকতা দুরন্ত ছিল। যেভাবে রিঙ্কু ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেল, সেটাও অসাধারণ। তবে শেষ দুই বল থাকতে টাইমিং ঠিকমত না হওয়াটাও দুর্ভাগ্যজনক। ও মুষড়ে পড়েছিল। আশা ছিল ও ম্যাচটা আমাদের হয়ে শেষ করে আসবে। হিরো হিসাবে সবাই ওঁকে বরণ করে নেবে। তা সত্ত্বেও বলতে হচ্ছে, রুদ্ধশ্বাস একটা ইনিংস উপহার দিল। ওঁর জন্য দারুণ লাগছে।"
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য এই একহাতের ক্যাচেই বিদায় ঘটল নাইটদের! IPL-এর সেরা ক্যাচ এটাই, দেখুন ভিডিও
ম্যাককালামের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলে শ্রেয়স জানালেন, "ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বরাবর সদর্থক ছিল। আমার কখনই আতঙ্কিত হয়র পড়িনি। বাজের (ম্যাককালাম) সঙ্গে দারুণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ও এমন একজন যে চরম বিপদের সময়েও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারে। ম্যাচের যেকোনও সময় ওঁর সঙ্গে আলোচনা চালানো যায়।" শ্রেয়সের আরও সংযোজন, "ক্রিকেটারদের মধ্যে ও যখন থাকে, সকলকে সমানভাবে বিবেচনা করে, ওঁর মধ্যে সেই দীপ্তি ফুটে ওঠে।"
বুধবার নভি মুম্বইয়ে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে লখনৌ রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে হারিয়েছে কেকেআরকে। মাত্র ২ রানে। কুইন্টন ডিকক এবং কেএল রাহুল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে ২১০ রান তুলে দিয়েছিলেন। কোনও উইকেট না হারিয়েই স্কোরবোর্ডে উঠেছিল এই রান। ডিকক ৭০ বলে ১৪০ করে যান। ক্যাপ্টেন রাহুল ৫১ বলে ৬৮ হাঁকান।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ার কোচ হচ্ছেন লক্ষ্মণ! শীঘ্রই বিশাল আপডেট ঘোষণা করতে চলেছে বোর্ড
কেকেআরের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। মাত্র ৯ রানের মধ্যেই কেকেআর দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলেছিল। এরপরে কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৫০) এবং নীতিশ রানা (৪২) ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেন। শেষদিকে রিঙ্কু সিং নাইটদের কার্যত ফিনিশিং লাইন পার করিয়ে দিয়েছিলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২১ রান দরকার ছিল। রিঙ্কু সিং প্ৰথম চার বলেই ১৮ তুলে দিয়েছিলেন। তবে পঞ্চম বলে তুলে মারতে গিয়ে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। শেষ বলে উমেশ যাদব আর পারেননি। মার্কাস স্টোয়িনিসের বলে বোল্ড হয়ে যান উমেশ।