কেকেআরের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালসকে দুর্ধর্ষ শুরুয়াত উপহার দিয়েছিলেন পৃথ্বী শ। ওপেনিং পার্টনারশিপে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৯৩ রান যোগ করে কেকেআরকে কার্যত প্রথমেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন শ। ওয়ার্নার-পৃথ্বী শয়ের তান্ডবে ভর করেই দিল্লি প্ৰথমে ব্যাট করে ২১৫ রান তুলেছিল।
গুজরাট টাইটান্স ম্যাচেও পৃথ্বী ৩৪ বলে ৬১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে গিয়েছিলেন। কেকেআর ম্যাচে তারকা করে গেলেন ২৯ বলে ৫১। পরপর দু-ম্যাচে টানা হাফসেঞ্চুরি করে পৃথ্বী নিজের জাত চিনিয়ে রাখছেন। শেষ পর্যন্ত বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হতে হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: পরপর তিন বল, তিনবার আউট হয়েও বাঁচলেন রাহানে! অবিশ্বাস্য ঘটনা IPL-এ, দেখুন ভিডিও
উমেশ যাদবের প্ৰথম ওভারেই পৃথ্বী ১০ রান তুলে ভাল সূচনার গোড়াপত্তন করে যান। তবে পৃথ্বীকে নড়বড়ে করে দিতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি উমেশ যাদব। পরের পর শর্ট বল আছড়ে ফেলতে থাকেন তারকা ব্যাটসম্যানের দিকে। এমন একটা শর্ট বল পৃথ্বীর হেলমেটে আছড়ে পড়ে ফাইন লিগ দিয়ে বাউন্ডারি পেরিয়ে যায়।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এমন ঘটনায় অনেকেই শিউরে ওঠেন। হেলমেটে বল লাগার পরে নিয়মমাফিক কনকাশন টেস্টও হয় পৃথ্বীর। তবে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি। অকুতোভয়ে নিজের ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। দুরন্ত গতির বাউন্সারও তাঁকে টলাতে পারেনি।
পৃথ্বীর সঙ্গে ভালো রান পেয়েছেন দিল্লির অন্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। ৪৫ বলে ৬১ করে দিল্লিকে শুরুতেই চালকের আসনে বসিয়ে দেন ওয়ার্নার। দুই ওপেনারের দাপটে দিল্লি স্কোরবোর্ডে ২১৫ তুলেছিল।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায়। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি (৩৩ বলে ৫৪) করেও শ্রেয়স আইয়ার কেকেআরকে বাঁচাতে পারেননি। বাকি ব্যাটসম্যানদের থেকে কোনওরকম সহায়তা পাননি। ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ উইকেটে নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিয়ে বার্তা দিলেন কুলদীপ যাদব। কুলদীপের শিকারের তালিকায় নাইট নেতা শ্রেয়স আইয়ার, সুনীল নারিন, প্যাট কামিন্স এবং উমেশ যাদব।