ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে কেকেআরকে হারিয়ে জয়ে ফিরল ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই ওপেনার পৃথ্বী শ, ডেভিড ওয়ার্নারের হাফসেঞ্চুরি এবং লোয়ার অর্ডারে শার্দূল ঠাকুর এবং অক্ষর প্যাটেলের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে দিল্লি কেকেআরের সামনে ২১৬ রানের টার্গেট রেখেছিল।
দিল্লির জয়েই ভালমত অবদান রেখে গেলেন শার্দূল ঠাকুর। দিল্লি ইনিংসের ফিনিশিং টাচ যেমন দিলেন, তেমনই বল হাতে ভেলকি দেখালেন। আন্দ্রে রাসেলকে আউট করলেন। আবার ফিল্ডিংয়েও দুরন্ত ক্যাচে ফেরালেন অজিঙ্কা রাহানেকে। মাত্র ৮ রান করে শার্দূলের অসাধারণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় কেকেআর ওপেনারকে।
আরও পড়ুন: কুলদীপের প্রতিশোধের আগুনে ছারখার KKR! ওয়ার্নার-পৃথ্বীদের তান্ডবে লুট শ্রেয়সের স্বপ্ন
কেকেআর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের ঘটনা। সেই সময়ে বল করছিলেন খলিল আহমেদ। সেই ওভারের চতুর্থ বলটি ছিল লেন্থ বল। এমন বলেই রাহানে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন লং অনের ওপর দিয়ে। তবে নাইট তারকা ঠিকমত ব্যাটে বলে কানেক্ট করতে পারেননি। বল ব্যাটের টপ এজে লেগে হওয়ায় উঠে যায়।
সেই সময়েই শার্দূল অনেকটা পিছনে দৌড়ে ক্যাচ তালুবন্দি করেন। গোটা সময়ে একবারও বলের দিক থেকে নজর সরাননি। অবিশ্বাস্য এই ক্যাচ অনেককেই মনে পড়িয়ে দিয়েছে ১৯৮৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে কপিলের পিছনে দৌড়ে সেই ঐতিহাসিক ক্যাচকে।
আরও পড়ুন: পরপর তিন বল, তিনবার আউট হয়েও বাঁচলেন রাহানে! অবিশ্বাস্য ঘটনা IPL-এ, দেখুন ভিডিও
তার আগে টসে জিতে কেকেআর বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পৃথ্বী শ এবং ডেভিড ওয়ার্নার দুজনেই ওপেনিং পার্টনারশিপে ৯৩ রান করে কেকেআরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। পৃথ্বী ২৯ বলে ৫১ এবং ওয়ার্নার ৪৫ বলে ৬১ করে যান। স্কোরবোর্ডে দিল্লি পাহাড়প্রমাণ ২১৫ তোলে।
নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি (৩৩ বলে ৫৪) করেও শ্রেয়স আইয়ার কেকেআরকে বাঁচাতে পারেননি। বাকি ব্যাটসম্যানদের থেকে কোনওরকম সহায়তা পাননি। ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ উইকেটে নিজের পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ৪ উইকেট নিয়ে বার্তা দিলেন কুলদীপ যাদব। কুলদীপের শিকারের তালিকায় নাইট নেতা শ্রেয়স আইয়ার, সুনীল নারিন, প্যাট কামিন্স এবং উমেশ যাদব।