কেকেআর: ১৪৬/৯
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৫০/৬
হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ে আর ফেরা হল না। দিল্লির কাছে ফের হারল নাইটরা। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে প্লে অফ থেকে কার্যত ছিটকে গেল শ্রেয়স আইয়ারের দল। নাইটদের ১৪৭ রানের টার্গেট এক ওভার বাকি থাকতেই স্কোরবোর্ডে তুলে দিল দিল্লি।
প্ৰথম পর্বের মত কেকেআরের কাছে চূড়ান্ত প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে হাজির হলেন কুলদীপ যাদব। এবারেও কুলদীপের হাতে কার্যত ধসে গেল নাইট দের ব্যাটিং। প্ৰথম পর্বে তিন উইকেট নিয়েছিলেন। ফিরতি পর্বের ম্যাচে কুলদীপ প্রাক্তন ক্লাবের টপ অর্ডারকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিলেন আরও একবার। পুরো ৪ ওভারও বল করতে হল না চায়নাম্যান স্পিনারকে। ৩ ওভারে তিনি তুলে নিলেন ৪ উইকেট। তা-ও মাত্র ১৪ রান খরচ করে।
প্ৰথমে শুরুটা করেছিলেন চেতন সাকারিয়া এবং অক্ষর প্যাটেল। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে ঝটকা দেন তাঁরা। টানা দুটো ম্যাচ ফিনিশার হিসাবে খেলানোর পরে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিজের পুরোনো ওপেনিং স্লটে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফিঞ্চের সঙ্গে। তবে স্কোরবোর্ডে ২২ রান ওঠার আগেই দুজনে সাজঘরে।
আরও পড়ুন: জঘন্য ফর্মে কেকেআর! নাইটদের জন্য আগে ক্ষমাও চেয়েছিলেন শাহরুখ
কুলদীপ অষ্টম ওভারে সুনীল নারিন এবং বাবা ইন্দ্রজিৎকে পরপর দু-বলে আউট করে নিজের মেজাজ দেখানো শুরু করেন। হ্যাটট্রিক করার সুযোগ থাকলেও তা হয়নি।
৩৫/৪ হয়ে যাওয়ার পরে নাইটরা কিছুটা হলেও ম্যাচে নীতিশ রানা (৩৭ বলে ৪২) এবং শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে (৩৪ বলে ৫৭) ভর করে। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ৪৮ রান যোগ করে যান।
১৪তম ওভারে কুলদীপ নাইটদের মোক্ষম ঝটকা দেন একই ওভারে শ্রেয়স আইয়ার এবং আন্দ্রে রাসেলকে আউট করে। নাইটদের বড় রান করার সলিল সমাধি কার্যত তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষদিকে রিঙ্কু সিং ১৬ বলে ২৩ না করলে আরও বিপদে পড়ত কেকেআর। কুলদীপের সঙ্গেই মুস্তাফিজুর রহমান বল হাতে সফল। কেকেআরের তিন উইকেট তাঁর দখলে।
সামান্য এই টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে দিল্লির শুরুটা মোটেই মসৃণ হয়নি। ইনিংসের প্ৰথম বলে পৃথ্বী শ আউট হওয়ার পরে ওভারেই নাইটদের হয়ে অভিষিক্ত হর্ষিত রানার শিকার হয়ে ফেরেন মিচেল মার্শ। সেখান থেকে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে দিল্লিকে ফিরিয়ে আনেন ডেভিড ওয়ার্নার (২৬ বলে ৪২) এবং ললিত যাদব (২৯ বলে ২২)। মাঝে ঋষভ পন্থরা পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল দিল্লি। উমেশ যাদব, সুনীল নারিনরা কেকেআরকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এক ওভার বাকি থাকতেই খেলা ফিনিশ করে দেন রভম্যান পাওয়েল (১৬ বলে ৩৩), অক্ষর প্যাটেলরা (১৭ বলে ২৪)।