লখনৌ সুপার জায়ান্টস: ১৬৮/৬
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৩২/৮
আর কোনও সমীকরণ নয়। সরকারিভাবে প্লে অফ থেকে ছিটকে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ৭ ম্যাচে হারার পরে গ্রুপ পর্বের বাকি ৭ ম্যাচেও জিততে হত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। তবে লখনৌয়ের কাছে অষ্টম হারের পরে ইতি পড়ে গেল সফলতম দলের প্লে অফে ওঠার স্বপ্ন।
প্ৰথমে ব্যাট করে লখনৌ কেএল রাহুলের চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় শতরানে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৬৮ তুলেছিল। সেই রান তাড়া করে মুম্বই থামল ১৩২/৮-এ।
ফের একবার মুম্বইয়ের তারকা খচিত ব্যাটিং লাইন আপ আটকে গেল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। ক্যাপ্টেন রোহিত ৩৯-এর বেশি করতে পারলেন না। পাঁচে নামা তিলক ভার্মা ৩৮ করলেন। বাকিরা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ। ঈশান কিষান, দেওয়াল্ড ব্রেভিস, সূর্যকুমার যাদব, কায়রণ পোলার্ড- কারোরই বল্লা চলল না।
পুরোনো দলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়ে গেলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ক্যাপ্টেন রোহিত সহ শেষদিকে কায়রণ পোলার্ড, ড্যানিয়েল স্যামস- তিনটে গুরুত্বপূর্ণ শিকারই ক্রুনালের ঝুলিতে।
মুম্বই শুরুটা খারাপ করেনি। রোহিত ভালো শুরু করেছিলেন। তবে ঈশান কিষান ব্যাটে বলে করতে পারছিলেন না। পাওয়ার প্লে-তে ভালো পজিশনে ছিলেন রোহিতরা। তবে পরের ছয় ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় মুম্বই। তিলক ভার্মা আরো একবার আশা জাগিয়ে শেষদিকে ব্যাটিং করলেও ফিনিশিং লাইন টপকাতে পারেননি দলের।
তার আগে লখনৌ ব্যাটিংয়ে একা খেলে যান ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল। দলের ১৬৮ রানের মধ্যে একাই ৬২ বলে ১০৩ করে যান তারকা। তাঁর ইনিংস সাজানো চার ওভার বাউন্ডারি, একডজন বাউন্ডারিতে। তিমি নিজেই কার্যত দুই দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দিলেন। ১০ পয়েন্ট নিয়ে লখনৌও প্ৰথম চারে ঢুকে পড়ল।