আম্পায়ারদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বাদানুবাদ থামানো যাচ্ছে না। চলতি আইপিএলে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। ঋষভ পন্থের দিল্লি তো বোর্ডের কড়া রক্তচক্ষুর সামনেও পড়েছিল।
এবার একই ঘটনা ঘটল এলিমিনেটর ম্যাচে আরসিবি বনাম লখনৌ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে। ১২ তম ওভারে দুষ্মন্ত চামিরার প্ৰথম বল আম্পায়ার উচ্চতার কারণে নো বল ডাকতেই প্রবল অখুশি মেজাজে ধরা দেন ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল।
স্কোয়ার লেগে থাকা আম্পায়ার মাইকেল গফ প্ৰথমে নো বলের সিগন্যাল দেন। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য আম্পায়ার মদনগোপালও সেই সিদ্ধান্তে সায় দেন। তারপরেই ক্ষুব্ধ ক্রুনাল পান্ডিয়া অখুশি হয়ে মাথা ঝাঁকাতে থাকেন। তারপরেই ক্রুনালের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কেএল রাহুলও। আম্পায়ার মদনগোপাল দুজনকে বোঝাতে থাকেন উচ্চতার কারণে নো বলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাইকেল গফ তখন ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন, এটা তাঁর কল। রাহুল তখন মাইকেল গফকে জিজ্ঞাসা করেন, তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে আবেদন জানানো সম্ভব কিনা!
ক্যামেরা সেই সময় লখনৌয়ের ডাগ আউটের দিকে প্যান করে। সেখানে কোচ এন্ডি ফ্লাওয়ার সহ বাকি সাপোর্ট স্টাফদের বেশ হতাশ হয়ে পড়তে দেখা যায় গোটা ঘটনায়। তবে সেই নো বলের খুব বেশি খেসারত দিতে হয়নি লখনৌকে। দুষ্মন্ত চামিরা দুর্ধর্ষ ওয়াইড ইয়র্কার দেন, যা পৌঁছতেই পারেননি মহিপাল লোমরোর। এর ঠিক দু ওভার পরেই লোমরোর আউট হয়ে যান রবি বিশ্নোইয়ের ওভারে।
আরও পড়ুন: কোহলির শট যেন জাদুটোনা! জয় শাহের পাশে বসেই তারিফ সৌরভের, দেখুন ইডেনের ভিডিও
এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এবং শার্দূল ঠাকুরকে উচ্চতার কারণে আম্পায়ারের নো বলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় বড়সড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হয়। সহকারী কোচ প্রবীণ আমরেকে এক ম্যাচ নির্বাসনেও পাঠানো হয় মাঠে ঢুকে পড়ায়।