টি২০-তে চার-ছক্কার বন্যা বয়ে যায়। স্টেডিয়ামেট দর্শকরা তো এমনই চান। ভরপুর বিনোদন। তবে ছক্কার সাইড এফেক্টও রয়েছে। বৃহস্পতিবার চেন্নাই বনাম লখনৌ ম্যাচে বাদোনির ছয় যেমন আছড়ে পড়ল মহিলা সমর্থকের মাথায়।
হলুদ জার্সি পরে প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন সেই সমর্থক। তবে তিনি ভাবতেই পারেননি প্রতিপক্ষ দলের শটেই তাঁকে আহত হতে হবে ম্যাচের শেষদিকে। চলতি আইপিএলে অন্যতম সেরা আবিষ্কার হয়ে উঠেছেন আয়ুশ বাদোনি। প্ৰথম ম্যাচে দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ের পরে সিএসকে ম্যাচেই ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন দিল্লির উঠতি প্রতিভা। ব্র্যাবোর্নের স্টেডিয়ামে তাঁর ছক্কাই আছড়ে পড়ল মহিলা সমর্থকের গায়ে।
আরও পড়ুন: ম্যাচের পর ম্যাচ KKR-এ দুর্ব্যবহারের শিকার কুলদীপ! কাইফের ঝাঁঝালো তোপ মর্গ্যান-কার্তিককে
রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে বাদোনির ছয় হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করেন সেই সমর্থক। তবে তা পুরোপুরি তালুবন্দি করতে পারেননি। মাথায় আছড়ে পড়ে বল। সৌভাগ্যবশত বড়সড় চোট আঘাতের মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে। যদিও তাঁকে দেখা যায়, বেশ কিছুক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে ব্যথা প্রশমনের চেষ্টা করছেন। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফেও দেখা হয় সেই দর্শক শারীরিকভাবে ঠিক রয়েছেন কিনা।
হাই স্কোরিং ম্যাচে লখনৌয়ের জয়ের অন্যতম কুশীলব বাদোনি। এভিন লুইস যেমন চলতি সংস্করণের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে লখনৌকে জেতানোর মূল কারিগর। তাঁকে শেষদিকে যোগ্য সহায়তা করলেন বাদোনি। দীপক হুডা আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাদোনি ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিও খেলে যান। পঞ্চম উইকেটে লুইস-বাদোনি ২০০-র ওপর স্ট্রাইক রেট রেখে ৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ২৩ বলে ৫৫ করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন লুইস।
ম্যাচের পরে বাদোনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাপ্টেন রাহুল। বলে দেন, "ওঁর হৃদয় অনেক বড়, যথেষ্ট লড়াকু। ভেজা বলে যেভাবে ও প্রত্যাবর্তন করল, তাতেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট। ও এমন একজন যে দ্রুত শিখতে চায়, বেড়ে ওঠার সময়। স্পিন কোচের সঙ্গে অনেকটা সময় অতিবাহিত করে। এরজন্য বিজয় দাহিয়া এবং গৌতম গম্ভীরেরও কৃতিত্ব প্রাপ্য। ওঁরাই ওঁকে দলে চেয়েছিলেন। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে চলেছে। তাছাড়া ও বলও করতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেটের বড়সড় আবিষ্কার ও।"
এই নিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে প্ৰথমবার সিএসকে লিগের প্ৰথম দুই ম্যাচেই হারল। প্ৰথম ম্যাচে কেকেআরের পরে দ্বিতীয় ম্যাচে সিএসকেকে হারতে হল লখনৌয়ের কাছে। ক্যাপ্টেন হিসাবে শুরুটা মোটেই ভাল হল না রবীন্দ্র জাদেজার।