রাজস্থান রয়্যালস আইপিএলে দুর্ধর্ষ ফর্ম ধরে রেখেছে। হায়দরাবাদের পর রাজস্থানের হাতে এবার বধ হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে রাজস্থান ২৩ রানে হারাল রোহিত শর্মা এন্ড কোং-কে।
জস বাটলার দুরন্ত সেঞ্চুরি করে প্ৰথমে রাজস্থানকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন। চলতি সংস্করণে এটাই ছিল প্ৰথম সেঞ্চুরি। বেন স্টোকসের পর টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় ইংরেজ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাটলারের ঝুলিতেও আপাতত জোড়া সেঞ্চুরি।
বাটলারকে ব্যাট হাতে যোগ্য সঙ্গত করেন সঞ্জু স্যামসন (২১ বলে ৩০) এবং শিমরন হেটমায়ার (১৪ বলে ৩৫)।
১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই একদমই ভাল শুরুয়াত করতে পারেনি। মুম্বইকে মিডল ওভারে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ঈশান কিষান এবং তিলক ভার্মার পার্টনারশিপ। ৮১ রানের জুড়িতে দলকে জয়ের পথেই টানছিলেন দুই তরুণ তুর্কি। তবে বোল্টের বলে ঈশান কিষান আউট হতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে অশ্বিনের বলে ফিরে যান তিলক ভার্মাও।
এরপরে যুজবেন্দ্র চাহাল পরপর দুই বলে ড্যানিয়েল স্যামস এবং টিম ডেভিডকে ফিরিয়ে মুম্বইয়ের হার কার্যত নিশ্চিত করে দেন। পরপর দু-বলে দুই মুম্বই তারকাকে ফেরানোর পরে হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন চাহাল। ক্রিজে সেইসময় নেমেছিলেন মুরুগান অশ্বিন।
হ্যাটট্রিক সম্পন্নও করে ফেলতে পারতেন তারকা। চাহালের বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে বসেন অশ্বিন। ফার্স্ট স্লিপে সেই সময় ব্যাটিং করছিলেন করুণ নায়ার। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নায়ার ক্যাচ মিস করে বসেন। চলতি আইপিএলের প্ৰথম হ্যাটট্রিক গড়ার স্বপ্নও আর পূরণ হয়নি তারকার। ঘটনাচক্রে, নায়ার মোটেই প্ৰথম একাদশে ছিলেন না। পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন।
সেই ক্যাচ মিস ম্যাচের ফলাফলে কোনও প্রভাব ফেলেনি। ২৩ রানে জয় পায় রাজস্থান। রয়্যালসদের জার্সিতে দুটো করে উইকেট নেন নবদীপ সাইনি এবং চাহাল। অশ্বিন, বোল্ট এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের সংগ্রহে একটি করে উইকেট।