মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫৫/৭
সিএসকে: ১৫৬/৭
ধোনি। অবিশ্বাস্য। সেই পুরোনো সময়। সেই রোমাঞ্চকর ফিনিশ। সময়ের ঘড়িকে আরও একবার ফিরিয়ে আনলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। চল্লিশ ছুঁইছুঁই বয়সে আরও একবার রুদ্ধশ্বাস রান তাড়া করে জেতালেন চেন্নাইকে। এখনও পারেন তিনি। দেখিয়ে দিলেন কার্যত হারা ম্যাচ জিতিয়ে।
১৩ বলে ২৮ রানে বিস্ফোরক ইনিংসে ডিওয়াই পাতিলে আগুন জ্বালিয়ে দিলেন ধোনি। আর মহাতারকার দুর্ধর্ষ ব্যাটে ভর করেই চেন্নাই আইপিএলের এল ক্লাসিকোয় হারিয়ে দিল মুম্বইকে। ৩ উইকেটে।
মুম্বইয়ের ১৫৫/৭-এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই একসময় ১০৬/৬ হয়ে গিয়ে খেলা থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫০ রান। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে নিয়ে ক্রিজে ছিলেন মাহি। মধ্যে প্রিটোরিয়াসও আউট হয়ে যান শেষ ওভারে।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। জয়দেব উনাদকাট অবশ্য পারলেন না সেরার সেরা ফিনিশারের সামনে এই রান ডিফেন্ড করতে। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং শেষ বলে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারির বন্যা ছুটিয়ে ধোনি সেই রান তুলে দেন স্কোরবোর্ডে।
তার আগে মুম্বইকে এদিন ম্যাচে রেখেছিলেন বোলাররাই। ড্যানিয়েল স্যামস চার উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার একা ভেঙে দিয়েছিলেন। অভিষেক ঘটানো রিলি মেরেডিথ এবং শেষ ওভার বাদ দিলে জয়দেব উনাদকাটও আস্থা জাগানো বোলিং করেছিলেন।তবে ধোনির সামনে সব ফিকে হয়ে গেল দিনের শেষে।
আরও পড়ুন: ‘জুনিয়র মালিঙ্গা’ এবার CSK-তে! মুম্বই ম্যাচের আগেই বড় আপডেট ধোনির দলের
তার আগে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে ত্রাস হিসাবে আবির্ভাব ঘটেছিল অনামি মুকেশ চৌধুরীর। প্ৰথম ওভারেই মুকেশের শিকার হয়ে ফিরে যান দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিষান। রানের খাতা খোলার আগেই। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে মুকেশ ফিরিয়ে দেন ওয়ান্ডার-বয় দেওয়াল্ড ব্রেভিসকে। মুকেশের শুরুর তিন ঝটকা সামলাতে না পেরে ৪৭/৪ এবং সেখান থেকে ৮৫/৫ হয়ে যায়। শেষদিকে তিলক ভার্মা (৪৩ বলে ৫১) এবং হৃতিক সৌকিন (২৫ বলে ২৫) করে কোনওরকমে দলকে দেড়শোর গন্ডি পার করিয়ে দেন। সূর্যকুমার যাদবও ২১ বলে ৩২ করেন।
তবে শেষ পর্যন্ত ধোনির ঝড়ের সামনে এসব কিছুই কাজে আসেনি। এখনও চলতি টুর্নামেন্টে জয়ের দেখা পেল না রোহিতের দল।