প্যাট কামিন্সের কাছে দুঃস্বপ্নের রাত উপহার পেয়েছেন। এক ওভারে ৩৫ রান বিলিয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে নিকৃষ্টতম লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার আপাতত এসব কিছুই নয়, বরং বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন সমর্থকদের কাছে চূড়ান্ত ব্যক্তিগত গালিগালাজ হজম করে।
কেকেআরের কাছে মুম্বই হারের পরেই স্যামসেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলোধোনা করে চলেছেন মুম্বই সমর্থকরা। শেষমেশ তা সইতে না পেরে স্যামস সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ারই দ্বারস্থ হলেন। আর্জি জানালেন, এসব বন্ধ হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: নর্জের ১৪১ কিমির মারণ বিমার, ভয় না পেয়ে ছক্কা ডিককের! দেখুন দুরন্ত ভিডিও
টুইটারে ড্যানিয়েল স্যামস লিখলেন, "শ্রদ্ধার সঙ্গে জানাচ্ছি, জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। আমি স্বীকার করছি, গত রাতে আমার পারফরম্যান্স মোটেই ভাল ছিল না এবং পরাজয়ের জন্য আমিই দায়ী। তবে ব্যক্তিগত স্তরে আমাকে আক্রমণ মোটেই ভাল বিষয় নয়। বহু ভারতীয় আমাকে টুইটারে এবং ইনস্টাগ্রামে গালিগালাজ করছেন। প্লিজ এগুলো বন্ধ করুন।"
বুধবার রাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অন্যতম খরুচে ওভার 'উপহার' দিয়েছিলেন স্যামস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারকে প্যাট কামিন্স চার ছক্কা এবং জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তোলেন ৩৫ রান। এটাই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে তৃতীয় খরুচে ওভার।
প্যাট কামিন্সের বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করে কেকেআর মাত্র ১৬ ওভারে ১৬১ তুলে দেয় বোর্ডে। ৩ ওভারে স্যামস ১ উইকেট নিয়ে খরচ করেন ৫০ রান। কামিন্স আবার ১৪ বলে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির নজির গড়ে যান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হারের হ্যাটট্রিক করার পরেই ক্রুদ্ধ সমর্থকদের নিশানায় চলে আসেন স্যামস।
কামিন্সের দুরন্ত ইনিংসের প্রশংসা শোনা গিয়েছে রোহিত শর্মার গলাতেও। ম্যাচের পরে তিনি জানিয়ে দেন, “ও যে এরকম খেলে যাবে, আমরা ভাবতে পারিনি। যেভাবে ও খেলল, তাতে ওঁকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ব্যাট হাতে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। তবে শেষ চার ওভারের ঝড়ে ১৬০+ স্কোর যথেষ্ট ভালো ছিল।”
“১৫ ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। তবে যেভাবে প্যাট খেলে গেল… আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম, হয়ত আমাদেরই ম্যাচ হতে চলেছে। স্কোরবোর্ডে বেশি রান থাকা সবসময় সুবিধাজনক। ওঁদের ৫ উইকেট ফেলেও দিয়েছিলাম আমরা। স্রেফ ভেঙ্কি এবং প্যাট কামিন্সকে আউট করা বাকি ছিল। পরে হয়ত নামত নারিন, যে-ও কিনা হাঁকাতে পারে। তবে এই হার হজম করে শক্ত। যেভাবে শেষের ওভারে ম্যাচ হাতছাড়া হল, আমাদের অনেক বিষয়ে উন্নতি করতে হবে।”