নতুন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়ালের নেতৃত্বে আইপিএলে দারুণ শুরু করেছে পাঞ্জাব কিংস। প্ৰথম ম্যাচেই আরসিবিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেছিল পাঞ্জাব। এরপরে কেকেআরের কাছে হারলেও সিএককেকে হারিয়ে লিগে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে পাঞ্জাব।
সিএসকের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের দলগত পারফরম্যান্স নজর কেড়ে নিয়েছে। স্কোরবোর্ডে ১৮১ তোলার পরে সিএসকেকে ১২৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল। পাঞ্জাবের সমস্ত বোলারই নজর কাড়া পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিল। তবে ২৪ বছরের তারকা বৈভব অরোরা সবথেকে কৃপণতম বোলিং করেছিলেন।
চার ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। আইপিএলে সিএসকে ম্যাচেই অভিষেক ঘটিয়েছিলেন তারকা। আর অভিষেকেই এমন পারফরম্যান্স সকলের কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছে।
হেভিওয়েট সিএসকের বিরুদ্ধে অরোরার পারফরম্যান্স দেখে ক্রিকেট পন্ডিতরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বৈভবকে। এমন আবহেই বৈভবের শৈশবের কোচ রবি ভার্মা জানিয়েছেন, ২০১৮-য় বৈভব খেলা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রবি ভার্মা জানিয়েছেন, জেলাস্তরের এক খেলা চলাকালীন বৈভবের বলে সাত-সাতটা ক্যাচ ফস্কে যায়। যাতে ব্যাপক বিরক্ত হয়েছিলেন তিনি। কোচকে তারপরে বৈভব অনুনয়ের সুরে বলে দিয়েছিলেন, "স্যার কোনও প্রাইভেট চাকরি খুঁজে দিন। এরকমভাবে ক্রিকেট হওয়া সম্ভব নয়।" তবে পাল্টা সেই বিষয়ে নিরুৎসাহ করতে কোচ বৈভবকে বলেন, "কপালে কুইটার (পালিয়ে) শব্দ লিখে ট্যাটু কর। তারপরে আর কোনওদিন আমাকে ফোন করবি না।"
আরও পড়ুন: হাত-পা-মুখ বেঁধে সারারাত আটকে রেখেছিল! সাইমন্ডসের কুকীর্তিতে প্রকাশ্যে বিষ্ফোরক চাহাল
এরপরে নিজেকে আরও কঠোর পরিশ্রমে ডুবিয়ে দেন বৈভব অরোরা। ২০১৯/২০ মরশুমে রঞ্জিতে খেলার ডাক পান। ধর্মশালায় সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিষেকও ঘটিয়ে ফেলেন। গত বছর রাজ্য দলের হয়ে লিস্ট-এ এবং টি২০-তে ডেবিউ করেন। ২০২০-র আইপিএলে তাঁর বন্ধু আর্শদীপ সিং তাঁকে সাহায্য করেন। তারপরে পাঞ্জাব কিংস তাঁকে নেট বোলার হিসাবে ডেকে নেয়।
অরোরা জানিয়েছেন, "পাঞ্জাব কিংসে কাটানো এই ৮০ দিন আমাকে ব্যাপক আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে গিয়েছিল। নিজের বোলিং সম্পূর্ণ অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাই আমি। নেটে ক্রিস গেইল, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, কেএল রাহুল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের বোলিং করছিলাম। এতে তারকাদের প্রতি আমার ভয় অনেকটাই কাটিয়ে দেয়।"
দুবাইয়ে আমাদের প্রথম নেট সেশনের পরে রাহুল ভাই জানতে চান, আমি কোথায় খেলে বেড়ে উঠেছি। আমি শীঘ্রই আইপিএল খেলব, সেই কথাও বলে যান। অনিল স্যার ও আমাকে একই কথা বলেন। বলেন, আমার মধ্যে মালমশলা রয়েছে। তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।"