লখনৌয়ের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডিকক দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৫২ বলে ৮০ রান করে গেলেন নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে। ডিককের ইনিংসে ভর করেই লখনৌ বৃহস্পতিবার ছয় উইকেটে হারাল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। কতটা দাপটে খেললেন লখনৌয়ের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান? স্রেফ একটা ঘটনাতেই স্পষ্ট। ১৪ তম ওভারে স্বদেশীয় আনরিখ নর্জের ১৪১ কিমির ভয়াল বিমারে সটান ছক্কা হাঁকালেন তিনি।
১৪তম ওভারের প্ৰথম বলেই বিমার করেছিলেন নর্জে। বলের গতি ছিল ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মত, ১৪১ কিমি প্ৰতি ঘন্টা। শিশিরের কারণেই বলের গ্রিপ না সামলাতে পেরে নিয়ন্ত্রণ হারান দিল্লি পেসার। প্ৰথমে ডিকক বল থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছিলেন। তবে শেষমেশ বলের গতি ব্যবহার করে ডিকক বাউন্ডারির ওপারে পাঠিয়ে দেন। সঙ্গেসঙ্গেই আম্পায়ার নো বল এবং ফ্রি হিটের নির্দেশ দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল।
আরও পড়ুন: শচীনকে আউট করতে কে বলেছিল! দর্শকদের ক্ষোভ থেকে বাঁচিয়ে শোয়েবকে প্রশ্ন সৌরভের
ঘটনাচক্রে, নর্জের বিমার পর্ব সেখানেই শেষ হয়নি। পরের ওভারেই তিনি আরও একটি বিমার দেন, দীপক হুডাকে। হুডা সেই বলে পৃথ্বী শয়ের হাতে ক্যাচ আউট হন। তবে নো বলের নির্দেশে লাইফলাইন পান। নিয়ম অনুযায়ী, এরপরে নর্জেকে বোলিং প্রান্ত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। চলতি আইপিএলের প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নেমে শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিডস্টার। ২.২ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে বসেন তারকা।
ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৯ তুলেছিল। পৃথ্বী শ ৩৪ বলে ৬১ করে যান। ডেভিড ওয়ার্নার ১২ বলে ৪ রান করে আউট হয়ে যান। দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ৩৬ বলে ৩৯ করেন।
১৫০ রানের টার্গেট তাড়া করে লখনৌ শুরুটা ভাল করেছিল। প্ৰথম উইকেটেই কেএল রাহুল এবং ডিকক স্কোরবোর্ডে ৭৯ তুলে দেন। কেএল রাহুল আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এভিন লুইস। ডিকক আউট হওয়ার পরে ম্যাচে ফিরে এসেছিল দিল্লি। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৯ রানের ক্যামিওয় দলকে উদ্ধার করে দেন। শেষ ওভারে আয়ুশ বাদোনি একটা বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারিতে ম্যাচ ফিনিশ করে দেন।