আরসিবি: ১৭৩/৮
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৬০/৮
নেতৃত্বের দায়িত্বে প্রত্যাবর্তন করার পরে দ্বিতীয় ম্যাচেই হার হজম করল সিএসকে। ফের একবার ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে পড়ে ধোনির চেন্নাই পথ হারাল আরসিবির ১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে।গিয়ে। শেষে সিএসকে থেমে গেল ১৬০/৮-এ। আরসিবির কাছে হারের সঙ্গেই প্লেঅফ থেকে চেন্নাইয়ের বিদায় পাকা হয়ে গেল।
রান তাড়া করার সময় ডেভন কনওয়ে এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড দারুণ প্ল্যাটফর্ম গড়ে দিয়েছিলেন পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের জন্য। রুতুরাজ (২৩ বলে ২৮) এবং ডেভন কনওয়ে (৩৭ বলে ৫৬) দুজনে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে রান তাড়া করার মঞ্চ প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন।
তবে সময় যত গড়াল, ততই পথ হারিয়ে ফেললে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডার। উথাপ্পা, রায়ডু থেকে জাদেজা-ধোনি সবাই হর্ষল প্যাটেল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসলেন। মঈন আলি পাঁচ নম্বরে নেমে ২৭ বলে ৩৪ করে দলকে টানছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: বল ছুঁড়ে কোহলিকে সপাটে আঘাত! মুকেশের কাণ্ডে কী করলেন মহাতারকা, দেখুন ভিডিও
জাদেজা আউট হওয়ার পরে ক্রিজে নেমেছিলেন ধোনি। শেষ ৪ ওভারে আস্কিং রেট পৌঁছে গিয়েছিল ১৩-য়। ভাবা হয়েছিল ধোনি ম্যাজিকে হয়ত শেষ হাসি হাসবে চেন্নাই। তবে পরপর দু-ওভারে হর্ষল প্যাটেল এবং জস হ্যাজেলউড মঈন আলি, ধোনিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই কার্যত চেন্নাইয়ের হার নিশ্চিত হয়ে যায়।
তার আগে আরসিবির হয়ে এদিন দারুণ পারফর্ম করে যায় লোয়ার অর্ডার। ওপেন করতে নেমে কোহলি এবং ডুপ্লেসিস এদিন স্কোরবোর্ডে সচল রেখেছিলেন পাওয়ার প্লে-তে। চতুর্থ ওভারে দুজনে ১৩ রান যোগ করেন। আর পঞ্চম ওভারে দুজনে ১৮ রান তুলে পাঁচ ওভারের মধ্যেই দলকে হাফসেঞ্চুরি পার করিয়ে দেন।
সিএসকের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করেই মঈন আলি আউট করেন ফাফ ডুপ্লেসিসকে (২২ বলে ৩৮)। পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রান আউট হয়ে যান। আরসিবির দ্রুত দুই উইকেটের পতনে ম্যাচে ফিরে আসে সিএসকে।
ডুপ্লেসিসের পরে মঈন ফেরান কোহলিকেও (৩৩ বলে ৩০)। ৭৯/৩ হয়ে গিয়ে একসময় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মহিপাল লোমরোর (২৭ বলে ৪২), রজত পতিদার (১৫ বলে ২১) এবং দীনেশ কার্তিক (১৭ বলে ২৬)। আরসিবি শেষ পর্যন্ত ১৭৩ তুলে দেয় স্কোরবোর্ডে।
সিএসকের হয়ে থিকসানা ৩ উইকেট নেন। মঈনের সংগ্রহে জোড়া উইকেট।