রাজস্থান রয়্যালস: ২১৭/৫
কেকেআর: ২১০/১০
শ্রেয়স আইয়ারের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ক্যাপ্টেনস নক। উমেশ যাদবের শেষদিকে মরিয়া ৯ বলে ২১। তা স্বত্ত্বেও আইপিএলের সেরার সেরা টানটান থ্রিলারে শেষ রক্ষা হল না নাইটদের। ব্যাট হাতে জস বাটলার এবং বোলিংয়ে ইতিহাস গড়া যুজবেন্দ্র চাহাল- দুজনের দাপটে অবিশ্বাস্য জয় পাওয়া থেকে আটকে গেল কেকেআর। রাজস্থানের ২১৭-র জবাবে নাইট রাইদার্স অলআউট হল ২১০-এ। হাতে দু-বল বাকি থাকতে।
টার্গেট ২১৮। এমন অবস্থায় সুনীল নারিনকে ওপেনিংয়ে ফিঞ্চের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার ফাটকা কাজে আসেনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চ (২৮ বলে ৫৮) এবং শ্রেয়স আইয়ারের (৫১ বলে ৮৫) ১০৭ রানের পার্টনারশিপ নাইটদের রান চেজ করার মঞ্চ গড়ে দিয়েছিল। ফিঞ্চ ফিরে যাওয়ার পরে অন্যপ্রান্তে উইকেট পতনের মুখে দাঁড়িয়ে নাইটদের একা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার।
শ্রেয়সের ব্যাটে যখন এডভান্টেজ কেকেআর, সেই সময়েই সমস্ত হিসাব গোলমাল করে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ১৭তম ওভারের শেষ তিন বলে চাহাল পরপর শ্রেয়স আইয়ার, শিভম মাভি এবং প্যাট কামিন্সকে আউট করে হ্যাটট্রিক করে যান। তার আগে নীতিশ রানা এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়েছিলেন তিনি।
আইপিএলে ঐতিহাসিক পাঁচ উইকেট নিয়ে সেই যে নাইটদের শেষ লগ্নে নাড়িয়ে দিলেন চাহাল, সেই ধাক্কা থেকে বেরিয়ে ফিনিশিং টাচ আর দেওয়া হল না নাইটদের।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে দিল্লির বিশ্বকাপজয়ী বিদেশি! আশঙ্কাজনক IPL-এর ভবিষ্যৎ নিয়েই জোরালো সংশয়
চাহালের ম্যাজিক ওভারের পরেও উমেশ যাদব ব্যাট হাতে জোড়া ছক্কা এক বাউন্ডারিতে ট্রেন্ট বোল্টের ওভারে ২০ রান তুলে ম্যাচ প্রায় বের করে দিয়েছিলেন। ইনিংসের শেষ অভারেও জয়ের জন্য নাইটদের দরকার ছিল মাত্র ১১ রান। ক্রিজে উমেশ যাদবের সঙ্গে ছিলেন শেলডন জ্যাকসন। তবে রাজস্থানের জার্সিতে সোমবারই অভিষেক ঘটা ওবেইদ ম্যাককয় জ্যাকসন এবং উমেশ দুজনকেই আউট করে নাইটদের স্বপ্নপুরণে জল ঢেলে দেন।