চলতি আইপিএলে একের পর এক ম্যাচ হেরেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর প্রত্যেক ম্যাচেই খেলতে নামার আগে টুইটারে ট্রেন্ডিং ছিলেন অর্জুন তেন্ডুলকর। ধরে নেওয়া হয়েছিল হয়ত মুম্বইয়ের জন্য নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে আইপিএল-অভিষেক ঘটানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে অর্জুনকে। তাই দিল্লি বনাম মুম্বই ম্যাচে গোটা ক্রিকেট বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন শচীন পুত্র।
দিল্লি ম্যাচে খেলতে নামার আগে রোহিত শর্মা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন, শেষ ম্যাচে বেশ কিছু আনকোরা মুখকে সুযোগ দেওয়ার পথে হাঁটবেন তাঁরা। "শেষ ম্যাচ আমাদের কাছে বেশ সহজ। সমস্ত বিভাগে ভাল পারফরম্যান্স করে ভালভাবে শেষ করব। যদি নতুনদের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়, সেটাও আমরা বিবেচনা করব।” হায়দরাবাদের কাছে শেষ ম্যাচ হারের পর এমনটাই জানান হিটম্যান।
আরও পড়ুন: শচীনের পুঁচকি সারা এখন রীতিমতো ডিভা! গ্ল্যামারে ঝলসে দেবেন বলি নায়িকাদেরও
তবে ক্রিকেট বিশ্বকে হতাশ করে শনিবার ওয়াংখেড়েতেও অভিষেক ঘটল না অর্জুনের। গোটা সিজনই ডাগ আউটে বসে কাটিয়ে দিলেন কিংবদন্তি পুত্র। ম্যাচের আগেই অর্জুন নেট সেশনের কিছু ভিডিও ইনস্টাগ্রামে।আপলোড করেছিলেন। যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল অনুশীলন ম্যাচে একের পর এক মারণ ইয়র্কার আছড়ে ফেলতে। সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন অর্জুনকে হয়ত শেষ ম্যাচেই সুযোগ দেওয়ার পথে হাঁটবেন রোহিতরা।
তবে টসের সময় রোহিত শর্মা যে একাদশ জানান, তাতে ছিল না অর্জুনের নাম। রোহিত দলে দুটো পরিবর্তনের কথা জানান- ট্রিস্টান স্টাবস এবং সঞ্জয় যাদবের বদলে নেওয়া হয় দেওয়াল্ড ব্রেভিস এবং হৃতিক সৌকিনকে। জায়গা হয়নি অর্জুনের।
আরও পড়ুন: মেসেজে ‘আপত্তিকর’ বার্তা শচীন কন্যা সারাকে! স্ক্রিনশট শেয়ার করলেন সুন্দরী
ভাই অর্জুনের অভিষেকের ইঙ্গিত পেয়ে দিদি সারা-ও চলে এসেছিলেন ওয়াংখেড়েতে। দারুণ ঘটনার সাক্ষী থাকতে।তবে ভাইয়ের অভিষেকের সাক্ষী থাকতে না পেরে তিনিও রীতিমতো হতাশ। ইনস্টাগ্রামে দুটো স্টোরি শেয়ার করলেন সারা। এর মধ্যে একটিতে তিনি লিখেছেন, "মরসুমের শেষ ম্যাচ। আই প্রমিস।"
যাইহোক, ম্যাচে অর্জুন না থাকলেও জিতে মরশুম শেষ করল মুম্বই। দিল্লিকে মুম্বই হারিয়ে দেওয়ায় প্লে অফে পৌঁছে গেল আরসিবি। প্ৰথমে ব্যাট করে দিল্লি ১৫৯/৭-এর বেশি তুলতে পারেনি। সেই রান চেজ করে পাঁচ বল বাকি থাকতে হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় মুম্বই। দুরন্ত ব্যাটিং করে যান ঈশান কিষান (৩৫ বলে ৪৮), দেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩৩ বলে ৩৭) এবং টিম ডেভিড (১১ বলে ৩৪)।