রুদ্ধশ্বাস রান চেজ করার সময় এবার উত্তপ্ত মুহূর্ত তৈরি হল ভেঙ্কটেশ আইয়ার বনাম শ্রেয়স আইয়ার সঙ্ঘাতে। টেনশনের আবহে শ্রেয়স ডাবল রান নিয়ে স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকতে চেয়েছিলেন। যা পত্রপাঠ নাকচ করে দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। এতেই মেজাজ হারিয়ে বসেন নাইট অধিনায়ক।
সাধারণত, শ্রেয়স ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল মেজাজের বলে পরিচিত ক্রিকেট মহলে। তবে সোমবারের ম্যাচ ব্যতিক্রমী হয়ে থাকল। ১৬তম ওভারের শেষ বলে শ্রেয়স আইয়ার ডিপ পয়েন্ট এরিয়ায় বল ঠেলে সিঙ্গলস নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে সিঙ্গলস পূর্ণ করার পরেই শ্রেয়স ডাবলসের জন্য আর্জি জানান পার্টনার ভেঙ্কটেশের কাছে। শুরুতে ক্যাপ্টেনের ডাকে সাড়াও দেন কেকেআর অলরাউন্ডার। তবে শ্রেয়স যখন দ্বিতীয় রান পূর্ণ করার জন্য প্রায় ক্রিজের মাঝপথে পৌঁছে গিয়েছিলেন, হঠাৎ রান নিতে অস্বীকার করেন ভেঙ্কটেশ।
তড়িঘড়ি নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ফিরতে হয় শ্রেয়সকে। কোনও রকম রান আউট না হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের সীমারেখায় ফিরে এলেও ভেঙ্কটেশের শেষ মুহূর্তে রান আউট নাকচ মোটেও ভালোভাবে নেননি শ্রেয়স। সঙ্গেসঙ্গেই চিৎকার করে ভেঙ্কটেশের কাছে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্যাপ্টেন।
আরও পড়ুন: ১ ওভার ৪ উইকেট ২ রান! চাহালের যে ম্যাজিক ওভারে খতম KKR, দেখুন ভিডিও
নাইটদের হয়ে ব্যাট হাতে সেরা স্কোর করে যান শ্রেয়স আইয়ারই (৫১ বলে ৮৫)। সোমবার ওপেনার হিসাবে নয়, ফিনিশারের ভূমিকায় পাঠানো হয় ভেঙ্কটেশকে। তবে সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেননি। চাহালের বলে আউট হওয়ার আগে ভেঙ্কটেশ ৭ বলে মাত্র ৬ করে যান।
ঘটনা যাই হোক, ব্যাট বলের তুল্যমূল্য লড়াইয়ে ব্র্যাবোর্ন মাতিয়ে গেল দুই দলই। ১৮ তম ওভারের আগেও ম্যাচের রাশ ছিল কেকেআরের হাতে। তবে ১৮ তম ওভারে হ্যাটট্রিক সমেত চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় একাই ঘুরিয়ে দেন যুজবেন্দ্র চাহাল। শেষদিকে উমেশ যাদব (৯ বলে ২১) বোল্টের ওভারে জোড়া ছক্কা সমেত একটা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২০ তুললেও নাইটদের সীমানা পেরোনোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
৭ রানে ম্যাচ জিতে রাজস্থান রয়্যালস আপাতত লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেল। ৭ ম্যাচে ৪ হার এবং ৩ জয় নিয়ে কেকেআর লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে।