গুজরাট টাইটান্স: ১৯০/৪
পাঞ্জাব কিংস: ১৮৯/৯
অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। শেষ দু-বলে পরপর ছক্কা হাঁকিয়ে কার্যত হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন রাহুল তেওটিয়া। পাঞ্জাবের ১৯০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে গুজরাটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান।
সেই রানও স্কোরবোর্ডে তুলে দিলেন রাহুল তেওটিয়া এবং ডেভিড মিলার। ঠিক তার আগের ওভারেই রাবাদা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেঞ্চুরির মুখে থাকা (৫৯ বলে ৯৬) শুভমান গিলকে। এমন অবস্থাতেও নেমে ৩ বলে ১৩ রান করে গুজরাটকে জিতিয়ে দিলেন তেওটিয়া। তিনটে বলের মধ্যে দুটোতেই ছক্কা হাঁকান।
আরও পড়ুন: CSK ম্যাচে শুরুতেই হিট! একসময় ক্রিকেট ছেড়ে অন্য চাকরি খুঁজেছিলেন পাঞ্জাবের এই তারকা
শেষ ওভারে বল করছিলেন অডিয়ন স্মিথ। প্ৰথম বলেই এক রান নেন তেওটিয়া। দ্বিতীয় বলে সপাটে ছক্কা হাঁকান ডেভিড মিলার। তৃতীয় বলেও এক রান নেন মিলার। এর পরে স্ট্রাইকিং এন্ডে গিয়ে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে বসেন তেওটিয়া। ডেভিড মিলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৪ বলে ৬ রান করে।
বিশাল রান চেজ করতে নেমে গুজরাটের ব্যাটিংয়ের মূল নায়ক শুভমান গিল। ওপেন করতে নেমে দুরন্ত ৯৬ রান হাঁকিয়ে যান তিনি। এগারো বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে সুদর্শনের (৩২ বলে ৩৫) সঙ্গে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের ট্র্যাক ধরে রাখেন নাইটদের প্রাক্তন তারকা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও ১৮ বলে ২৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলে যান। তবে শেষ ওভারে তেওটিয়া ঝড় না থাকলে গুজরাটকে হয়ত টুর্নামেন্টের প্ৰথম হার হকম করতে হত।
ব্যাটে শুভমান গিল-তেওটিয়াদের সঙ্গে বোলিংয়ে গুজরাটের হয়ে নজর কাড়লেন রশিদ খান। পাঞ্জাব ইনিংসের তিনজনই তাঁর শিকার। পাঞ্জাবের হয়ে ফের একবার দুর্ধর্ষ ব্যাটিং করে যান লিয়াম লিভিংস্টোন (২৭ বলে ৬৫)। শিখর ধাওয়ান (৩০ বলে ৩৫) এবং জিতেশ শর্মা (১১ বলে ২৩) এবং শাহরুখ খানরাও (৮ বলে ১৫) ব্যাট হাতে সহায়তা করে যান।
তবে দিনের শেষে নায়ক সেই তেওটিয়া।