গুজরাট টাইটান্স: ১৭১/৬
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৫৭/৯
লকি ফার্গুসন, শুভমান গিল- কেকেআরের এই দুই প্রাক্তন তারকায় ছিটকে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। ফার্গুসন এবং শামির নিখুঁত পেসে প্ৰথমে লাইনচ্যুত হয়েছিল দিল্লি ইনিংস। সেরার সেরা পেস বোলিংয়ের নিদর্শন তুলে ধরে ফার্গুসন ২৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট দখল করে যান। ব্যাটিংয়ে শুভমান গিলের দুরন্ত ৮৪- পরপর দুই ম্যাচে জোড়া জয় এনে দিল গুজরাট টাইটান্সকে। দিল্লি ক্যাপিটালস মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের পরে দ্বিতীয় ম্যাচে হারল ১৪ রানের ব্যবধানে।
নিলামে ১০ কোটি টাকার কেনা ফার্গুসন বিধ্বংসী পৃথ্বী শ (১০), মনদীপ সিং (১৮), ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ (২৯ বলে ৪৩) এবং অক্ষর প্যাটেলকে (৮) আউট করে দিল্লির ১৭২ রান চেজ বেলাইন করে দেন। শেষদিকে শামিও দুই উইকেট তুলে নেন। দুই টাইটান্স পেসারের দাপটে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭/৯-এর বেশি তুলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ক্যাচ মিসে হ্যাটট্রিকও মিস! দু-বলে দু-উইকেট নিয়েও স্বপ্নভঙ্গ চাহালের, দেখুন ভিডিও
বোলিংয়ে ফার্গুসন-শামিকে যোগ্য সহায়তা করেন টাইটান্স ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। দিল্লি ওপেনার টিম সেইফার্টকে ফেরান তিনি। রশিদ খানও আউট করেন শার্দূল ঠাকুরকে। রান তাড়া করতে নেমে দিল্লি মোটেই শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান সেইফার্ট। পঞ্চম ওভারে ফার্গুসন দিল্লির ইনিংসে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে তুলে নেন পৃথ্বী শ এবং মনদীপকে।
আগের ম্যাচে ভাল খেলা ললিত যাদব এবং ক্যাপ্টেন পন্থ এরপরে ইনিংস সামলানোর দায়িত্ব নেন। ৬.৫ ওভারের মধ্যে দুজনে ৬১ রান যোগ করে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে ১২ তম ওভারে ললিত যাদব নাটকীয়ভাবে রান আউট হয়ে যান।
এরপরে পন্থ আউট হয়ে যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়ে দিল্লি। শেষ পাঁচ ওভারে দিল্লিফ জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৬ রান। হাতে ছিল মাত্র ৪ উইকেট। ১৬তম ওভারে শার্দূল আউট হওয়ার পরে শামির তুলে নেন রভম্যান পাওয়েল (২০) এবং খলিল আহমেদকে (০)। জোড়া শিকারের পরে দিল্লির আশা তখনই শেষ হয়ে যায়।
তার আগে শুভমান গিল কেরিয়ারের সেরা টি২০ পারফরম্যান্স মেলে ধরেন ৪৬ বলে ৮৪ করে। গিলের দাপুটে ব্যাটিংয়ে টাইটান্স ২০ ওভারে ১৭১/৬ তুলেছিল। শুরুতে ম্যাথু ওয়েড এবং বিজয় শঙ্কর আউট হওয়ার পরে গিলের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া জুটি বেঁধে ৬৫ রানের পার্টনারশিপে দলকে ম্যাচে ফেরান।
প্ৰথম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। কুলদীপ যাদবের স্পিন পড়তে না পেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিজয়শঙ্কর। ইনিংসের প্ৰথম থেকেই বিধ্বংসী ফর্মে খেলছিলেন গিল। প্ৰথম ম্যাচে জিরোয় আউট হওয়ার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন করলেন প্রাক্তন নাইট তারকা। গিল শেষমেশ আউট হন ১৮তম ওভারে। খলিল আহমেদের বলে ডিপ মিড উইকেটে অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তারকা। ৭ ওভারের শেষে গুজরাট ৪৪/২ ছিল। সেখান থেকে হার্দিক-গিলের পার্টনারশিপ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে যায়। খলিল আহমেদের বলে লং অনে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেওয়ার আগে হার্দিক ২৭ রানের ইনিংসে চারটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান।