আইপিএলের ৫০তম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ইতিহাস গড়ে ফেললেন সানরাইজার্সের সুপারস্টার পেসার উমরান মালিক। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলিং করে গেলেন তিনি। এক্সপ্রেস গতিতে বল করলেন ১৫৭ কিমিতে।
২২ বছরের স্পিডস্টারের হাতে শেষ ওভারের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আর চতুর্থ বলেই রভম্যান পাওয়েলকে করা বলের গতি ছিল ১৫৭ কিমি।
আরও পড়ুন: প্লে অফের জন্য কোন দলের সামনে কী অঙ্ক, হিসাব নিকেশ মিলিয়ে নিন
বিশাল গতির সেই বল অবশ্য কাজে আসেনি। পাওয়েল বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেন। একইভাবে পাওয়েল ১৫৫ কিমির পঞ্চম বলও পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারিতে। কয়েকদিন আগেই উমরান আইপিএল ইতিহাসে দ্রুততম বল করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ডই গড়লেন একবার নয়, দু-বার। চলতি আইপিএলে উমরানই আপাতত দ্রুততম বলের মালিক। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম বোলিং করে গিয়েছিলেন শন টেট। ১৫৭.৭ কিমিতে দ্রুততম বোলিং করে গিয়েছিলেন অজি স্পিডস্টার।
দিল্লি ইনিংসের ১২তম ওভারেও উমরান ১৫৪.৮ কিমিতে বল করলেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। সেই বলের গতিতেই নিজের রেকর্ড ভাঙলেন আগের ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধে করা দ্রুততম বলের নজির। ১৫৪ কিমি গতিতে বল করেছিলেন ১ মে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে।
নিলামের আগে হায়দরাবাদ যে তিন তারকাকে রিটেন করেছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম উমরান মালিক। ফ্র্যাঞ্চাইজির আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন তিনি। জম্মুর এক্সপ্রেস পেসার ১৫ উইকেট নিয়েছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ইনিংসে পাঁচ উইকেটও শিকার করেছেন।
আরও পড়ুন: বল ছুঁড়ে কোহলিকে সপাটে আঘাত! মুকেশের কাণ্ডে কী করলেন মহাতারকা, দেখুন ভিডিও
ম্যাচে দিল্লি বাজিমাত করল ওয়ার্নার, রভম্যান পাওয়েলের দুরন্ত ব্যাটে ভর করে। টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন হায়দরাবাদ নেতা কেন উইলিয়ামসন। প্ৰথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মনদীপ সিংকে। অস্ট্রেলিয়ার টি২০ বিশ্বকাপের হিরো মিচেল মার্শও দ্রুত আউট হয়ে যান।
জোড়া উইকেট পতনের পরে দিল্লি ইনিংসের দায়িত্ব নেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং রভম্যান পাওয়েল। ওয়ার্নার-পাওয়েল চতুর্থ উইকেটে ১২২ রান যোগ করে যান। ৫৮ বলে ৯২ করে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। রভম্যান পাওয়েল ৩৫ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান।
দিল্লির ২০৭/৩-এর জবাবে হায়দরাবাদ ১৮৬/৮-এ ইনিংস শেষ করে। শুরুর দিকে পরপর উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ ৩৭/৩ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে হায়দরাবাদকে টানেন মারক্রাম (২৫ বলে ৪২) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদ্য নিযুক্ত হওয়া ক্যাপ্টেন নিকোলাস পুরান (৩৪ বলে ৬২)। দুজনে চতুর্থ উইকেটে ৬০ রান যোগ করে দলের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। তবে শেষদিকে পরপর উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ২১ রান দূরে থেমে যায় হায়দরাবাদ ইনিংস। দিল্লির হয়ে শার্দূল ঠাকুর ২ এবং খলিল আহমেদ ৩ উইকেট নেন।