আইপিএলের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি মানা হয় তাঁকে। দু-বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলে নারিন যোগ দিয়েছিলেন ২০১২-য়। তারপর থেকে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে অপরিহার্য অংশ হয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০১২, ২০২৮-য় দুবার টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটারের তকমা জুটেছে তাঁর। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে তিনি কেরিয়ারের ১৫০তম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামছেন।
স্রেফ মিস্ট্রি স্পিনার হিসাবেই নয়, নারিন হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানের ভূমিকাতেও নিজের ছাপ রেখেছেন। নাইটদের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর নারিনকে প্ৰথমবার ওপেনার হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। তারপরে ১৪০টি ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে হাজারের কাছাকাছি রান করে ফেলেছেন ক্যারিবীয় তারকা।
একদশকের বেশি সময় কেকেআরে কাটানোর পরে নারিন বলছেন, আইপিএল কেরিয়ার শেষ করতে চান নাইটদের জার্সিতেই। কেকেআর ওয়েবসাইটে নারিন জানিয়েছেন, "ভেঙ্কিকে (মাইশোর, কেকেআর সিইও) বরাবর বলে এসেছি, আশা করি, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে কোনওদিন খেলতে হবে না। কেকেআরে আমার কেরিয়ার বেশ উপভোগ করেছি। যেখানে শুরু করেছি, সেখানেই ফিনিশ করতে চাই। খুব বেশি বিদেশি ক্রিকেটার একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সারা কেরিয়ার খেলেনি। খুব অল্প বিদেশিদের মধ্যে আমি একজন। আশা করি ভবিষ্যতেও কেকেআরের জার্সিতে খেলতে পারব।"
আরও পড়ুন: কেকেআর ম্যাচে গ্যালারিতে রহস্যময়ী! ভাইরাল মেয়ের পরিচয়ের খুঁটিনাটি বের করলেন সমর্থকরাই
চলতি ২০২২ মরশুম নারিনের কেরিয়ারের ১১তম বছর। ২০২০-তে বল হাতে একদমই ছাপ ফেলতে পারেননি। তবে ২০২১-এ স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন। দলকে ফাইনালে তোলার অন্যতম কারিগরও ছিলেন।
বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে নারিনের স্পিন জুটি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। মেগা নিলামের আগে যে চার তারকাকে কেকেআর রিটেন করে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম নারিন। নাইটদের হয়ে ছয়টা ম্যাচে খেলে খুব বেশি উইকেট দখল করতে না পারলেও, নারিনের ইকোনমি রেট যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। ওভার পিছু মাত্র ৫ রান।