বল হাতে উমেশের স্বপ্নের সফর অব্যাহত। সিএসকে, আরসিবি ম্যাচে উমেশ বিধ্বংসী ফর্মে ধরা দিয়েছিলেন। শুক্রবার উমেশের ঝাঁঝে স্রেফ গুঁড়িয়ে গেল পাঞ্জাব কিংস। মাত্র ৩ ম্যাচ খেলেই তারকার ঝুলিতে ৮ উইকেট। শেষ তিন সংস্করণে যত উইকেট তুলেছিলেন, চলতি সংস্করণের মাত্র তিন ম্যাচেই তত উইকেট তুলে নিলেন বিদর্ভর স্পিডস্টার।
২০২১-এ একটাও ম্যাচে নামার সুযোগ হয়নি উমেশের। ২০২০-তে দুটো ম্যাচে খেললেও উইকেট দখল করতে পারেননি। তার আগের মরশুমে উমেশের শিকার ছিল ৮ ব্যাটসম্যান। এবার নাইটদের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাত্র তিন ম্যাচ খেলার পরেই তুলে নিলেন আট উইকেট। প্ৰথম দুই ম্যাচে উমেশ চার উইকেট শিকার করেছিলেন। পাঞ্জাব ম্যাচে প্যাভিলিয়নে।ফেরত পাঠালেন ৪ ব্যাটসম্যানকে।
আরও পড়ুন: জাদেজা ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’, মাঠে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধোনিই! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সিনিয়র জাদেজা
টস জিতে অধিনায়ক শ্রেয়স বোলিং নিতে দ্বিধা করেননি শিশির ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে। আর প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব কিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ১৩৭ রানে। পুরো ২০ ওভার-ও টিকতে পারল না কিংসরা। ১৮.২ ওভারে খতম। পাওয়ার প্লে-তে দুরন্ত বোলিংয়ের ট্র্যাডিশন বজায় রেখে উমেশ প্ৰথম ওভারেই ফেরত পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ককে। এর পরে নবম ওভারে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হতে থাকা লিয়াম লিভিংস্টোনকে (১৬ বলে ১৯) আউট করেন। ১৫ তম ওভারে জোড়া ঝটকা দেন তিনি। একই ওভারে পরপর আউট করেন হরপ্রীত ব্রার এবং রাহুল চাহারকে। ৪ ওভারে দিনের শেষে এক ওভার মেডেন সহ উমেশের ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার। এটাই তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স। এর আগে সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২৪ রানের বিনিময়ে চার উইকেট।
পাঞ্জাবের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ রান করে যান তিন নম্বরে নামা ভানুকা রাজাপক্ষে। ৯ বলে ৩ বাউন্ডারি, ৩ ওভার বাউন্ডারি সমেত ঝড় তুলে লঙ্কান তারকা করে যান ৩১। শেষদিকে কাগিসো রাবাদা ১৬ বলে ২৫ রান করে কোনওরকমে স্কোর ১৩০ পার করে দেন। রাবাদার ব্যাট থেকে বেরোল চার বাউন্ডারি এবং এক ওভার বাউন্ডারি।
আরসিবি ম্যাচের হিরো ওডিয়ন স্মিথ ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। নাইট বোলারদের মধ্যে টিম সাউদিও ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। উমেশ-সাউদির দাপটেই কার্যত শেষ পাঞ্জাব।
কেকেআর প্ৰথম একাদশ:
অজিঙ্কা রাহানে, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, স্যাম বিলিংস, নীতিশ রানা, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, টিম সাউদি, শিভম মাভি, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী