আরসিবি: ১৭০/৬
গুজরাট টাইটান্স: ১৭৪/৪
বিরাট কোহলি অবশেষে ফর্মে ফিরলেন। ব্যাটে হাঁকালেন মরশুমের প্ৰথম হাফসেঞ্চুরি। তা সত্ত্বেও গুজরাটের কাছে হেরে আরসিবি প্লে অফে ওঠার দৌড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল।
কোহলি (৫৩ বলে ৫৮) এবং রজত পতিদারের (৩২ বলে ৫২) জোড়া হাফসেঞ্চুরি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে (১৮ বলে ৩৩) ব্যাঙ্গালোর ১৭০ তুলেছিল। তবে হর্ষল প্যাটেলরা সেই রান ডিফেন্ড করতে পারলেন না। টানটান ম্যাচে গুজরাট তিন বল বাকি থাকতেই সেই রান চেজ করে দিল।
ঋদ্ধিমান সাহা (২২ বলে ২৯) এবং শুভমান গিলের (২৮ বলে ৩১) ওপেনিং পার্টনারশিপে ফিফটি তুলে দিয়েছিলেন। এরপরে মাঝে পরপর উইকেট হারিয়ে গুজরাট একসময় ৯৫/৪ হয়ে যায়। দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরে সুদর্শন (২০) এবং ক্যাপ্টেন পান্ডিয়াও আউট হয়ে যান। সেখান থেকে ডেভিড মিলার (২৯ বলে ৩৪)-রাহুল তেওটিয়া (২৫ বলে ৪৩) ৭৯ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে দলকে জিতিয়ে মাঠে ফেরেন।
আরসিবি হারলেও শিরোনামে কোহলি। বহুদিন পরে ব্যাটে রান পাওয়ার সৌজন্যে। দুপুরে খেলা হওয়ায় টসে জিতে আরসিবি প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিল। শুরুতে ডুপ্লেসিস আউট হওয়ার পরে বিরাট কোহলি এবং রজত পতিদার ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। কোহলি হাফসেঞ্চুরি করলে শিরোনামে উঠলেও রজত পতিদার ৩২ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে কাজের কাজ করে যান। কোহলি ক্রিজে থাকলেও রজত পতিদার লিড স্ট্রাইকারের ভূমিকা পালন করে যান।
পতিদার আউট হওয়ার পরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান। ১৮৩.৩৩ রানে ডান হাতি তারকা ফিনিশিং টাচ দিয়ে যান আরসিবি ইনিংসের। গুজরাটের হয়ে প্রদীপ সাংগোয়ান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন।
৯ ম্যাচে ৮ জয় সমেত গুজরাট আপাতত লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রাখল। অন্যদিকে, ১০ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পঞ্চম স্থানে আরসিবি।