অডিয়ন স্মিথের শেষ দু-বলে দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে রোমহর্ষক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রাহুল তেওটিয়া। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে শেষদিকে আলো কেড়ে নিয়েছেন তারকা অলরাউন্ডার।
শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। চতুর্থ বলে মিলার এক রান নিয়ে স্ট্রাইকিং এন্ডে পাঠান তেওটিয়া। তারপরে গোটাটাই ইতিহাস। শেষ দু-বলে ১২ রান প্রয়োজন ছিল। সেই রান স্কোরবোর্ডে তুলে দেন জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে। প্ৰথম ছক্কা আসে মিড উইকেট দিয়ে। দ্বিতীয় ছক্কারও ঠিকানা হয় মিড উইকেট বাউন্ডারি।
আরও পড়ুন: CSK ম্যাচে শুরুতেই হিট! একসময় ক্রিকেট ছেড়ে অন্য চাকরি খুঁজেছিলেন পাঞ্জাবের এই তারকা
টসে জিতে গুজরাট টাইটান্স প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব কিংস ১৮৯ তুলে দিয়েছিল স্কোরবোর্ডে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল এবং জনি বেয়ারস্টো দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পরে পাঞ্জাব ম্যাচে ফেরে শিখর ধাওয়ান এবং লিয়াম লিভিংস্টোনের পার্টনারশিপে ভর করে।
ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় ধাওয়ানকে আউট করে যান রশিদ খান। এরপরে দ্রুত আরও দু-উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাব একসময় ১২৪/৫ হয়ে যায়। শাহরুখ-লিভিংস্টোনের জুটিতে ভর করে পাঞ্জাব ১৫৩ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় ইনিংস। তবে রশিদ খানের চতুর্থ ওভারে দুই ব্যাটসম্যানই আউট হয়ে যান। শেষদিকে দুজনের উইকেট হারিয়ে বসায় পাঞ্জাব ২০০ পর্যন্ত আর পৌঁছতে পারেনি। রশিদ খান ৩ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: হাত-পা-মুখ বেঁধে সারারাত আটকে রেখেছিল! সাইমন্ডসের কুকীর্তিতে প্রকাশ্যে বিষ্ফোরক চাহাল
গুজরাটের হয়ে ওপেন করতে নেমে শুভমান গিল ৯৬ করে যান। দ্বিতীয় উইকেটে গিল-সুদর্শনের পার্টনারশিপে ১০১ যোগ করে গুজরাট। হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ২৭ রানের ইনিংসে রান চেজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। শেষ ওভারের ঠিক আগের ওভারে গিল ফিরে যাওয়ার বড় বিপাকে পড়েছিল টাইটান্স শিবির। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৮ রান। আর তেওটিয়া ৩ বল খেলেই ১৩ তুলে দেন জোড়া ছক্কা সমেত। তবে ম্যাচের সেরা বাছা হয়েছে শুভমান গিলকে।