মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কার্যত বেআব্রু করে দিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। একাধিক বিষয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন জাতীয় দলের তারকা স্পিনার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে এসে চাহাল সরাসরি বলে দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান এন্ড্রু সাইমন্ডস এবং জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন তাঁকে সারারাত হাত-পা বেঁধে আটকে, তারপরে খুলতে ভুলে যায়।
দ্বিতীয় ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর। ১৫ তলা থেকে তাঁকে ঝুলিয়ে দিয়েছিল এক মদ্যপ সতীর্থ। যদিও সেই ক্রিকেটার কে, তাঁর নাম সর্বসমক্ষে জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: গালিগালাজ বন্ধ করুন প্লিজ! ‘ভারতীয়দের’ বিরুদ্ধে চরম অভিযোগ মুম্বইয়ের স্যামসের
ফ্র্যাঙ্কলিন-সাইমন্ডস পর্ব ২০১১ সালের। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার তিক্ত স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে চাহাল অশ্বিনের চ্যানেলে বলেছেন, "২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরে চেন্নাইয়ের হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। সাইমন্ডস অনেক ফ্রুট জুস পান করে ফেলে। আমি ওঁর সঙ্গেই ছিলাম। এরপরে জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন এবং সাইমন্ডস আমার হাত-পা বেঁধে দেয়। তারপরে আমাকে বলে, 'এবার খুলে দেখাও তো!' ওঁরা এতটাই ফুর্তিতে ছিল যে আমার মুখেও টেপ লাগিয়ে দিয়েছিল। তারপরে আমাকে একদম ভুলেই যায়। পার্টি শেষ হওয়ার পরে সকালে একজন ক্লিনার এসে আমাকে সেই অবস্থায় দেখে মুক্ত করেন। ওঁরা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, কতক্ষণ এভাবে থাকতে হয়েছিল, আমার জবাব ছিল, সারারাত!"
পডকাস্টের হোস্টের তরফে এরপরে জানতে চাওয়া হয়, সাইমন্ডস চাহালের কাছে পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন কিনা। চাহালের জবাব, "ফ্রুট জুস পান করার করার পরে ওঁরা অনেক কথা বলেছিল। ওঁরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। কোনও কিছুই মনে ছিল না পরে।"
রোমহর্ষক দ্বিতীয় পর্বের ঘটনা ২০১৩ সালের। "এই ঘটনা আগে কখনই জানায়নি। তবে এবার সকলেই জানবে। ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘটনা। আমাদের ব্যাঙ্গালোরে ম্যাচ ছিল। ম্যাচের পরে একটা গেট-টুগেদার পর্ব ছিল। একজন ছিলেন পুরোপুরি মদ্যপ। ওঁর নাম জানাতে পারব না। প্রচুর নেশার ঘোরে ছিল। অনেকক্ষণ ধরে আমার দিকে তাকিয়ে থাকার পরে ও আমাকে ডেকে বাইরে নিয় যায়। তারপরে ব্যালকনি থেকে ঝুলিয়ে দেয়।"
এমনটা জানিয়ে চাহালের রাজস্থান রয়্যালসের পোস্ট করা ভিডিওয় আরও সংযোজন, "আমার হাত ওঁর গলার চারপাশে জড়িয়ে ছিল। একটু এদিক ওদিক হলে, ১৫ তলা থেকে পড়ে যেতাম। হঠাৎ করেই অনেকে সেখানে হাজির হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলাম, সেই ঘটনায়। তারপরে উপলব্ধি করি, কোথাও যাওয়ার পরে আমাদের কতটা দায়িত্বশীল হতে হয়। সেই ঘটনায় জোর রক্ষা পেয়েছিলাম। সামান্য ভুল হলেই নীচে পড়ে যেতাম।"