ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি যে এরকম বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন, অনেকেই কল্পনা করেননি। তবে বুধবারের রাত পুরোটাই প্যাট কামিন্সের হয়ে থাকল। মুম্বইয়ের বোলিংকে উড়িয়ে একাই তান্ডব চালালেন মাঠে। চলতি মরসুমের প্ৰথম ম্যাচে খেলতে নেমে বল হাতে একদমই নজর কাড়তে পারেননি। ৪ ওভারে ৪৯ রান বিলিয়ে দিয়েছিলেন।
বোলিং ব্যর্থতাই কামিন্স সুদে-আসলে মিটিয়ে দিলেন আইপিএলের যুগ্ম দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে। ২০১৮-য় কেএল রাহুল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাত্র ১৪ বলে ফিফটি করে দ্রুততম হিসাবে নাম লিখিয়েছিলেন। এবার কেএল রাহুলের সঙ্গেই নাম জুড়ল প্যাট কামিন্সের।
আরও পড়ুন: ছক্কায় ছক্কায় ছারখার মুম্বই! কামিন্সের তান্ডবে রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে চুরমার
কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন। সেই সঙ্গে অজি সুপারস্টার নিজেও অপরাজিত থাকলেন ১৫ বলে ৫৬ করে। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের (৪০ বলে ৫১) সঙ্গে অপরাজিত ৬১ রানের পার্টনারশিপের অধিকাংশ রান-ই এল তাঁর ব্যাট থেকে।
আর ম্যাচের পরে কামিন্সের ইনিংস প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মুম্বই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, "ভাবতেই পারিনি কামিন্স ক্রিজে এসে এরকম ইনিংস খেলে যাবে। ম্যাচ যত এগিয়েছে, পিচ ব্যাটিংয়েট জন্য সহজ হয়ে এসেছে। শুরুতে বল থমকে থমকে আসছিল। ব্যাটে আমরা যেহেতু সেরকম ভাল শুরু করতে পারিনি। শেষ ৪-৫ ওভারে ৭০+ রান তুলে ব্যাটিং ইউনিট নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তবে আমরা পরিকল্পনা মাফিক বোলিং করতে পারিনি। ১৫ তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচে আমরা এগিয়ে ছিলাম। তারপরে কামিন্সের ইনিংসটা অসাধারণ ছিল।"
১৬১ রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর ১০১/৫ হয়ে গিয়ে একসময় বেশ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। আন্দ্রে রাসেল আউট হওয়ার পরে ক্রিজে নেমে টাইমাল মিলসের প্ৰথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের বিধ্বংসী ইনিংসের সূচনা করে যান তারকা।
আরও পড়ুন: IPL শাসন করবেন, KKR-এর বিরুদ্ধে অভিষেকেই ব্যাটে হুঙ্কার ‘বেবি এবি’ ব্রেভিসের
আর এরপরে ড্যানিয়েল স্যামসের তৃতীয় ওভারে ৩৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলে নাইটদের জয় নিশ্চিত করে যান কামিন্স। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই তৃতীয় খরুচে ওভার। তার আগে কামিন্সও নিজের চতুর্থ ওভারে ২৫ রান বিলিয়ে দিয়েছিলেন। কামিন্স সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিষানকে আউট করলেও ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে এসে মুম্বই স্কোরবোর্ডে ১৬১ তুলে দিয়েছিল। চার ম্যাচের তিনটিই জিতে কেকেআর আপাতত লিগ তালিকার শীর্ষে।
আইপিএলের দ্রুততম ১০ হাফসেঞ্চুরি:
1 কেএল রাহুল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরূদ্ধে ১৪ বলে ৫১
2 প্যাট কামিন্স মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৪ বলে ৫০
3 ইউসুফ পাঠান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৫ বলে ৭২
4 সুনীল নারিন আরসিবির বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৫৪
5 সুরেশ রায়না পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৬ বলে ৮৭
6 ঈশান কিষান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৬ বলে ৮৪
7 ক্রিস গেইল পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ১৭ বলে ৫০
8 হার্দিক পান্ডিয়া কেকেআরের বিরুদ্ধে ১৭ বলে ৫০
9 কায়রণ পোলার্ড সিএসকের বিপক্ষে ১৭ বলে ৫০
10 এডাম গিলক্রিস্ট দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের বিরুদ্ধে ১৭ বলে ৫০