আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই লাইমলাইটে অর্জুন তেন্ডুলকর। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ শেষ ওভার বোলিং করে সেই আলোচনা আরও উঁচুতে নিয়ে গিয়েছেন শচীন-পুত্র। ক্রিকেট জগৎ যেখানে অর্জুনকে নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা, সেখানে অর্জুনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা রশিদ লতিফ। বোলিং একশন, পেস- সব নিয়েই অর্জুনকে তুলোধোনা করলেন লতিফ।
Advertisment
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রশিদ লতিফ বলছেন, পেস বাড়াতে পারবেন না শচীন-পুত্র। বায়োমেকানিক্যাল বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে।
"ক্রিকেট কেরিয়ারের একদম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে অর্জুন। ওঁকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ওঁর বলের লাইন ঠিক নেই। বলের গতিও আর বাড়াতে পারবে না।"
নিজের ইউটিউব চ্যানেল 'কট বিহাইন্ড'-এ এমনটা জানিয়ে লতিফ আরও বলছেন, "যদি একজন ভালো বায়োমেকানিক্যাল বিশেষজ্ঞ ওঁকে গাইড করেন, তাহলে হয়ত ওঁর বলের গতি কিছুটা বাড়তে পারে। কোচিং করার একজন বোলারকে বদলে ফেলা- বেশ সংবেদনশীল বিষয়। শচীন নিজেও এটা করতে পারতেন। তবে নিজের ছেলেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছেড়ে দিয়েছে ও। নিজের ভিত শক্তপোক্ত হতে হবে।"
"ল্যান্ডিংয়ের সময় ও ভিতরে ঢুকে আসার বদলে অনেকটা বেরিয়ে যায়। শরীরের ভারসাম্যও ঠিক নেই। এই কারণে ওঁর গতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে আবার-ও বলছি। ও একদম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ১৩৫ কিমি পর্যন্ত বলের গতি তুলতে পারে। তাছাড়া ও একজন ভালো ব্যাটারও বটে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে ও আরও উন্নতি করতে পারে।"
লতিফ আরও বলছেন, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি যেখানে শচীন যুক্ত নন, সেখানে খেললে অর্জুনের শরীরী ভাষায় বদল আসতে পারত, "যদি ও অন্য দলের হয়ে খেলত, ধরা যাক সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে, তাহলে ওঁর ভাবভঙ্গি কিন্তু আলাদা হত। এখন ড্রেসিংরুমে বাবা রয়েছে। পিতৃসুলভ একটা ব্যাপার রয়েই যায়।"
কেকেআরের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন অর্জুন। তারপর চাপের মুখে হায়দরাবাদ ম্যাচের শেষ ওভারে বোলিং করে দলকে জিতিয়েছেন। ভুবনেশ্বরকে আউট করে নিজের প্ৰথম শিকার করেছেন আইপিএলে।