নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে খেলতে নামছে গুজরাট টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। ঠিক তার আগেই অবসরের ঘোষণা করে ফেললেন আম্বাতি রায়ডু। আইপিএলের ফাইনালেই তাঁকে শেষমেশ খেলতে দেখা যাবে।
টুইটারে রায়ডু বলে দেন, "দুটো মহান দল- সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স- ১৪ সিজন, ১১টা প্লে অফ, ৮ ফাইনাল, ৫ ট্রফি। আশা করি আজকে রাতে ষষ্ঠ খেতাব পাব। দারুণ একটা ক্রিকেটীয় সফর হল। এদিনের ফাইনাল-ই আমার শেষ ম্যাচ হবে। এই টুর্নামেন্টে খেলা দারুণ উপভোগ করেছি। সকলকে ধন্যবাদ। আর কোনও ইউ টার্ন নয়।"
২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টানা আইপিএলে খেলেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে। তারপরেই সিএসকে শিবিরে নাম লেখান তিনি। ২০১৮-য় ১৬ ইনিংসে ৬০২ রান করেছিলেন। মুম্বইয়ের হয়ে তিনবার এবং চেন্নাইয়ের হয়ে দুবার আইপিএল ট্রফি জিতেছেন।
গত বছর টুইটারে নিজের অবসর ঘোষণা করেও পরে সেই বার্তা মুছে দেন তিনি। লিখেছিলেন, "এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। জানাতে পেরে ভালো লাগছে। দারুণ সময় কাটিয়েছি। ১৩ বছর ধরে দুটো গ্রেট দলের প্রতিনিধিত্ব করা দারুণ বিষয়। এই যাত্রার জন্য সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ধন্যবাদ।" সেইজন্যই এবারের বার্তায় লিখলেন, "নো ইউ টার্ন"।
অদ্ভুতভাবে অবসর ঘোষণা এবারই প্ৰথমবার নয় রায়ডুর। ২০১৯ ওয়ার্ল্ড কাপে বাদ পড়ার পর রায়ডু অবসর নিয়ে ফেলেন। পরে আবার সেই সিদ্ধান্ত দূরে সরিয়ে আইপিএলে খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
২০১৮-য় রায়ডু প্ৰথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফোকাস করেন। সেই প্ল্যানিং দারুণভাবে খেটে যায়। ভারত বিশ্বকাপের আগে চার নম্বরে ব্যাট করার জন্য উপযুক্ত তারকার সন্ধানে ছিল। দ্বিতীয় বার ইয়ো ইয়ো টেস্টে সফল হয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রায়ডু নিজের প্রতিভার প্রতি যোগ্য প্রদর্শন করতে পারেননি। ৫৫ ওয়ানডেতে রায়ডু ৪৭.০৫ গড়ে তিনটে সেঞ্চুরি সহ মাত্র ১৬৯৪ রান করেছেন। ৬টা টি২০ খেলে রায়ডুর রান ৪২। হায়দরাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বরোদা, বিদর্ভের হয়ে ৯৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তারকা করেছেন ৬১৫১ রান। হাঁকিয়েছেন ১৬ টি শতরান।
Read the full article in ENGLISH