IPL 2023, Chennai Super Kings vs Gujarat Titans Match Report:
সিএসকে: ১৭৮/৭
গুজরাট টাইটান্স: ১৮২/৫
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে এবারের আইপিএলে অভিযান শুরু করল ধোনির সিএসকেকে হারিয়ে। টসে জিতে টাইটান্স ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া বোলিং নিয়েছিলেন। প্ৰথমে ব্যাট করে সিএসকে রুতুরাজ গায়কোয়াডের দুর্ধর্ষ ৯২ রানে ভর করে ১৭৮ তুলেছিল। জবাবে শেষ পর্যন্ত রান চেজ করে হাতে পাঁচ উইকেট এবং চার বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল।
টানটান ম্যাচে শেষ তিন ওভারে গুজরাটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩০ রান। শুভমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়া সহ টপ অর্ডারের চার তারকাই সেই সময় প্যাভিলিয়নে। ১৮তম ওভারে হাঙ্গারেকর ক্রিজে টিকে যাওয়া বিজয় শঙ্করকে আউট করে দেওয়ার পর ভাবা হচ্ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার হয়ত হার দিয়েই শুরু করবেন। তবে সমস্ত সমীকরণ ওলটপালট করে দেন রশিদ খান। ১৯তম ওভারে দীপক চাহারের ওভারে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সামনে এনে দেন দলকে।
আরও পড়ুন: তারা খসা রাতে জীবনের সেরা সম্মানে ধোনি! কিংবদন্তির পা ছুঁয়ে প্রণাম স্বয়ং অরিজিৎ-এর, দেখুন ভিডিও
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৮ রান। আইপিএলের ইতিহাসে প্ৰথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার তুষার দেশপাণ্ডের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ধোনি। তবে সেই রান ডিফেন্ড করতে পারেননি দেশপাণ্ডে। প্ৰথম বল ওয়াইড করার পরের দুই বল বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গুজরাটকে জিতিয়ে দেন রাহুল তেওটিয়া।
তার আগে গুজরাটের বড় রান চেজ করার রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন শুভমান গিল। ঋদ্ধিমান সাহার (১৬ বলে ২৫) সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই গিল ঝড় তুলেছিলেন। ঋদ্ধিমান ফিরে যাওয়ার পর তিনি হাল ধরেন সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে। কেন উইলিয়ামসন ফিল্ডিং করার সময় চোট পাওয়ায় ব্যাটিংয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামানো হয় সুদর্শনকে। মাঝে সুদর্শন (১৭ বলে ২১), হার্দিক পান্ডিয়া পরপর আউই হয়ে যাওয়ায় মিডল ওভারে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল গুজরাট।
১৫ তম ওভারে তুষার দেশপান্ডের ক্রসসিমের বল মিড উইকেট দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরে যান গিল-ও (৩৬ বলে ৬৩)। এরপরে রোমাঞ্চকর রান চেজের সাক্ষী রেখে গুজরাটকে তীরে নিয়ে যান বিজয় শঙ্কর (২১ বলে ২৭), রাহুল তেওটিয়া (১৪ বলে ১৫) এবং রশিদ খানের (৩ বলে ১০) ক্যামিও ইনিংস।
ব্যাট হাতে দুর্ধর্ষ ক্যামিও ইনিংসের পাশাপাশি রশিদ খান বল হাতেও ম্যাচে ফারাক গড়ে দেন। বেন স্টোকস এবং মঈন আলি দুই ইংরেজ তারকাই এদিন তাঁর শিকার। সিএসকের হয়ে একা কার্যত খেলে গেলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। নিশ্চিত শতরানের পথে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে আলজারি জোসেফের ফুলটস বল হাঁকাতে গিয়ে লং অনে গিলের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ৫০ বলে ৯২ করে। মঈন আলি ১৭ বলে ২৩ করেন। শেষদিকে ধোনি (৭ বলে ১৪) জশুয়া লিটলের ওভারে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের স্কোর ১৭৮ পর্যন্ত টেনে দেন। তবে তাতেও কাজের কাজ হল না।