রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে পুরোনো ফর্ম দেখিয়েছেন। ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অতীতে। নিজের ফেলে আসা আগুনে ফর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি।
ডেভন কনওয়ে আউট হয়ে যাওয়ার পরে তিনি যখন ১৬তম ওভারে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন চেন্নাই যথেষ্ট খারাপ অবস্থায়। তারপরে তিনি রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ৩০ বলে ৫৯ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ প্রায় বের করে এনেছিলেন। ২০তম ওভারে সন্দীপ শর্মা বোলিং করছিলেন। জয়ের জন্য সিএসকের প্রয়োজন ছিল ২১ রান। প্ৰথম দুই বল চাপের মুখে সন্দীপ ওয়াইড করার পর ধোনি জোড়া ছক্কা হাঁকান দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে। শেষ তিন বলে জয়ের জন্য সমীকরণ নেমে আসে ৭ রানে। তবে এখানেই হোঁচট খেয়ে যান ধোনিরা। শেষ তিন বলে তিন রানের বেশি তুলতে পারেননি ধোনি-জাদেজারা। ঠান্ডা মাথায় রাজস্থানকে তিন রানে জয় এনে দেন সন্দীপ শর্মা।
ম্যাচের পরেই বিতর্কের সূত্রপাত। সঞ্জু স্যামসনকে ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্জয় মঞ্জরেকর জিজ্ঞাসা করেন, "শেষ দুই ওভারের আগে ম্যাচ যে পকেটে কখনও তা মনে হয়েছে?" জবাবে সঞ্জু স্যামসন বলে দেন, কখনই নয়! ঘটনা হল স্যামসন নিজের লম্বা জবাবে একবারের জন্যও ধোনির নাম উল্লেখ পর্যন্ত করেননি। সারাক্ষণ বলে গেলেন, 'সেই ব্যক্তি' হিসেবে।
"না স্যার, ওই ব্যক্তি যখন ক্রিজে থাকে, তখন কোনওভাবেই ম্যাচের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না। এই লোককে শ্রদ্ধা জানানো উচিত। সকলেই জানেন, ও কী করতে পারেন। ম্যাচে সকলেই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত। ম্যাচের আগে তথ্য, পরিসংখ্যান ধরে অনেক প্ল্যানিং করে মাঠে নামি। তবে ম্যাচ চলাকালীন অধিকাংশ সিদ্ধান্তই নিতে হয় তাৎক্ষণিক ঘটনার প্রেক্ষিতে। দেখতে হয়, কোন নির্দিষ্ট মুহূর্তে কে ভালো বোলিং করছেন। মাত্র দু-বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যেন হান্ড্রেড করেছি। মাথার মধ্যে অনেক চিন্তা ঘোরাফেরা করে।"
ধোনি ১৭ বলে ৩২ করে যান। রোমাঞ্চকর অবস্থায় দলকে পৌঁছে দিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি। মাত্র তিন রানের জন্য জয় হাতছাড়া হয়েছে। তবে ম্যাচের পর বিপক্ষ ক্যাপ্টেনের তরফ থেকে কী আরও একটু সম্মান তাঁর প্রাপ্য ছিল না। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের একবারও নাম উল্লেখ না করে, সঞ্জু কি ঠিক করলেন, প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।