বছরের পর বছর কেকেআরের সেরা পারফর্মার হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সুনীল নারিন। তবে গত কয়েক সিজন ধরেই নারিন নিষ্প্রভ। চলতি সিজনে আরও শোচনীয় অবস্থায় ক্যারিবীয় মিস্ট্রি স্পিনার। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট এখনও খেলিয়ে যাচ্ছে নারিন। কিন্তু কতদিন এভাবে বয়ে বেড়ানো হবে তাঁকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
নাইটদের জার্সিতে স্পিন বিভাগে অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্স করে চলেছেন বরুণ চক্রবর্তী (১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট)। তরুণ সুয়াশ শর্মাও (৮ ম্যাচে ১০ উইকেট) নিয়মিত নজর কাড়ছেন। তবে বোলিং একশনে বদল ঘটানোর পরেই নারিন কার্যত অতীতের ছায়া হয়ে গিয়েছেন। ১১ ম্যাচে তাঁর নামের পাশে মাত্র ৭ উইকেট।
২০১২ থেকে কেকেআরের সদস্য। দু-বারের আইপিএল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ক্রিকভিজ-এর এক ইভেন্টে ড্যারেন গঙ্গা জানাচ্ছেন, "একশনে বদল ঘটানোর পর নিজের পুরোনো ফর্ম ফিরে পাওয়াটা নারিনের কাছে চ্যালেঞ্জের। ওঁকে এটা নিয়মিত করতে হচ্ছে। বেশ কয়েকবার ওঁকে সতর্ক করা হয়েছে। এই ক্রমাগত কাটাছেঁড়ার জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে।"
আরও পড়ুন: শীঘ্রই টিম ইন্ডিয়ায় খেলবেন কলকাতার রিঙ্কু, বড় আপডেট জাতীয় দলের মহারথীর
"কিন্তু আমার কাছে নারিন এখনও দলের অন্যতম সম্পদ। হয়ত ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলালে নারিন পুরোনো ফর্ম ফিরে পেতে পারে। কে জানে?"
অফফর্ম বিতর্কে স্বদেশীয় তারকার পাশেই দাঁড়াচ্ছেন গঙ্গা। জানাচ্ছেন, তিনজন স্পিনার রয়েছে। সকলেই যে প্রতিদিন একইসঙ্গে দারুণ বোলিং করবে, এমনটা প্রত্যাশা না করাই ভালো। "কেকেআরে সুনীলের সঙ্গেই আরও দুজন স্পিনার রয়েছে। এমন পরিস্থিতি আগে ছিল না। মূলত ও বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধে বোলিং করত। এখন সুয়াশ শর্মাও রয়েছে। যেটা সুনীলের কাছে আরও চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়েছে।" বলেছেন তিনি।
গঙ্গা বলছেন, নারিনের লাইন-লেংথ এখনও অভ্রান্ত। সুনীলের কারণেই বরুণ-সুয়াশরা এত বেশি সফল হতে পারছেন। তাঁর বক্তব্য, "ওঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। দলগত সাফল্যের অভাব নারিনের ওপর আরও চাপ তৈরি করেছে। অনেকক্ষেত্রে নারিনকে এমন পরিস্থিতিতে অল্প রানের টার্গেট ডিফেন্ড করতে হচ্ছে যেখানে পিচ পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। আইপিএলে কলকাতার ইডেন অন্যতম ব্যাটিং সহায়ক পিচ। এমন পিচেই ওঁকে বোলিং করতে হচ্ছে এমন স্পিনারদের সঙ্গে জুটি বেঁধে যাঁরা দারুণ সফল। পাঁচ বোলারের তিনজনই স্পিনার হলে কোনও না কোনও স্পিনার সেভাবে পারফর্ম করতে পারবে না। উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে। সুনীলের ইকোনমি রেট বরুণ, সুয়াশের মতই। ওঁরা বরং সুনীলের উপস্থিতির ফায়দা তুলছে পুরোপুরিভাবে।"
Read the full article in ENGLISH