/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/kohli-sourav.jpeg)
আরসিবি বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস লড়াই শেষ। সপ্তাহ গড়াতে চলল সেই ম্যাচের তবে সেই ম্যাচের কাণ্ড-কারখানা এখনই যেন ফুরোনোর নয়। নেপথ্যে জাতীয় দলের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক- সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিরাট কোহলি।
ঘটনাবহুল সেই ম্যাচে সৌরভ-কোহলির সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। একের পর এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে চিন্নাস্বামীতে। পরপর ভিডিও ফাঁস হয়েছে। প্ৰথম ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, আরসিবি জয়ের ঠিক দু-ওভার আগে কোহলি ঠান্ডা চাহনি দিচ্ছেন দিল্লি ক্যাপিটালস ডাগ আউটে। যেখানে সেই সময় বসে ছিলেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয় ভিডিও দেখাচ্ছে, সৌরভ কীভাবে সৌজন্য করমর্দনের সময় রিকি পন্টিংয়ের পাশ দিয়ে বাইপাস করে দিল্লি ক্যাপিটালস তারকাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন যাতে কোহলিকে এড়ানো যায়।
জোড়া ভিডিও ফাঁসের পরের দিনই নতুন ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে আবার দেখা যাচ্ছে, সৌরভ সরাসরি উপেক্ষা করছেন কোহলিকে। ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের সাপোর্ট স্টাফ, ক্রিকেটাররা বিরাটকে অভিবাদন জানালেও সৌরভ ধারেকাছেও যাননি সুপারস্টারের।
Virat kohli Unfollow To Sourav Ganguly In Instagram .King kohli ke saath jo Galat karega Uske saath Yahi Hoga🚩🚩🔥🔥 pic.twitter.com/5P2npiys70
— Radhe krishna🇮🇳 (@king_Virat140) April 16, 2023
Finally sourav ganguly also unfollow Virat Kohli on Instagram 😂#ViratKohli#Dadapic.twitter.com/MdV4kBXTD8
— ऋषि (Rishi) (@i_autophile) April 18, 2023
এখানেই ঘটনার শেষ নয়। বহুল চর্চিত সেই ম্যাচের পরের দিনই গোটা ঘটনায় কার্যত শিলমোহর দিয়ে ইন্সটায় মহারাজকে আনফলো করে বসেন কোহলি। পাল্টা দেন সৌরভও। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করে দিয়েছেন জাতীয় দলের বর্তমান তারকাকে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড সভাপতি থাকার সময়েই জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিরাট কোহলি। সৌরভ সেই সময় প্রচারমাধ্যমে সরাসরি বলে দেন, বোর্ডের তরফে কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে সেই অনুরোধ বিরাট রাখেননি। এরপরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার ঠিক আগে বিদায়ী প্রেস কনফারেন্স-এ কোহলি বিস্ফোরকভাবে সৌরভের বক্তব্য খন্ডন করে বলে দেন, বোর্ডের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর কোনওরকম আলোচনাই হয়নি।
তার আগে ২০২১ আইপিএল চলার ঠিক আগেই কোহলি জাতীয় দলের টি-২০ ফরম্যাট থেকে নেতা হিসেবে সরে দাঁড়ান। মরশুম শেষে আরসিবির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণাও করেন তিনি। এরপরে আচমকা কোহলিকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বোর্ডের তরফে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।
এরকমভাবে অপমানিত হয়ে কোহলি এরপরে টেস্টের অধিনায়ক হিসাবেও পদত্যাগ করেন। সেই সম্পর্ক আজও জোড়া লাগেনি। গোটা ঘটনা এতদিন কিছুটা আড়ালে থাকলেও দুজনের সরাসরি সাক্ষাতে একে অন্যের উদ্দেশ্যে এরকম ব্যবহার সর্বসমক্ষে প্ৰথম দেখা গেল। সম্পর্ক যে একদম বিষিয়ে ঘা হয়ে গিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।