চিন্নস্বামীতে কোহলি-সৌরভের শীতল সংঘাত ঝড় তুলে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে। ডাগ আউটে বসে থাকা সৌরভের দিকে জ্বলন্ত চাহনি দেওয়া হোক কোহলির আগ্রাসী উদযাপন। কোহলিকে এড়িয়ে যেতে পাল্টা লাইন ভেঙে সৌজন্য করমর্দনের সময় সৌরভ অবাক কান্ড করেছিলেন। যে ঝড় তুলে দিয়েছিল আইপিএল তো বটেই ক্রিকেট মহলে। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছিল। এমনকি বলা হয়েছিল, দুজনে নাকি একে অন্যকে ইনস্টাগ্রামে আনফলোও করে দেন সেই ঘটনার পর।
ফিরতি লেগে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ফের একবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। স্পটলাইটে ছিলেন সেই দিল্লি ক্যাপিটালস ক্রিকেট ডিরেক্টর এবং আরসিবির সুপারস্টার কোহলি। ম্যাচ পরবর্তী করমর্দনের সময় এবার জাতীয় দলের দুই প্রজন্মের দুই মহাতারকা কী করেন, সেদিকে নজর ছিল।
এবার অবশ্য বিতর্ক বাড়েনি। শেষ পর্যন্ত দুই দলের ক্রিকেটার এবং আধিকারিকরা সৌজন্য করমর্দনের সময় সৌরভ-কোহলিও হ্যান্ডশেক করেন। সৌরভ কোহলির ভালো ইনিংসের প্রশংসা স্বরূপই পিঠে হালকা চাপড় মারেন।
কয়েক বছর আগে সৌরভ যখন বোর্ড সভাপতি এবং বিরাট জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন, সেই সময় থেকেই দুজনের সংঘাত শুরু। কোহলি টি২০ নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার পর সৌরভ সংবাদমাধ্যমে বলেন, কোহলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল নেতৃত্ব না ছাড়ার জন্য। পাল্টা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে দেশের মাটিতে বিষ্ফোরক প্রেস কনফারেন্স-এ কোহলি জানান, বোর্ডের তরফে অবশ্য তাঁর কাছে কোনও অনুরোধ-উপরোধ আসেনি। সরাসরি সৌরভের বক্তব্য খন্ডন করে কোহলি তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্টকে মিথ্যাবাদী প্রমাণের চেষ্টা করেন। এরপরে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় কোহলিকে। বোর্ডের তরফে বলা হয় সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে আলাদা আলাদা নেতার প্রয়োজন নেই। ক্ষুব্ধ হয়ে কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পরেই টেস্টের নেতৃত্ব-ও ছেড়ে দেন।
সেই অধ্যায়ের পর জল অনেক গড়িয়েছে। সৌরভ এখন আর বোর্ড সভাপতি নন। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের নেতাও এখন রোহিত। তবে এখনও ধিধিকিকি আগুন জ্বলছে দুই তারকার অন্তরে। সেই শীতল সম্পর্কের আঁচ-ই এসে পড়েছিল আইপিএলের প্ৰথম পর্বে।
যাইহোক, কোহলি সৌরভের সামনে ধীরগতির হাফসেঞ্চুরি করেও দলকে রক্ষা করতে পারেননি। ফিল সল্টের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দিল্লি ২০ বল বাকি থাকতেই দিল্লির ১৮১/৪ টার্গেট তুলে দেয়।
Read the full article in ENGLISH