দিল্লি ক্যাপিটালস দলে কি অন্তর্দ্বন্দ্ব চালু হয়ে গেল। সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া গেল দলের তারকা স্পিনার কুলদীপ যাদবের কথায়। যিনি ম্যাচের পর সরাসরি ব্যাটসম্যানদের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন।
সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সাত রানে জয় পেয়েছে দিল্লি। প্ৰথম পাঁচটি ম্যাচের পাঁচটিতেই হারের ধারা ওয়ার্নারকে ভেঙেছিলেন কেকেআরের বিপক্ষে। দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন দিল্লিওয়ালারা। এরপরে হায়দরাবাদের বিপক্ষে টানা দুটো ম্যাচে জয় পেল দিল্লি।
ম্যাচের পর দিল্লির তারকা স্পিনার সাংবাদিকদের বিষ্ফোরকভাবে বলে দিয়েছেন, "দল হিসেবে, বোলিং ইউনিট হিসাবে আমাদের বিশ্বাস ছিল। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা নিজেদের ওপর ভরসা রেখে গিয়েছি। তবে আমাদের ব্যাটিং আরও উন্নত করতে হবে। দল হিসেবে আমরা খুব বেশি উইকেট তুলতে পারিনি। তবে ২০ ওভার টানা ভালো বোলিং করে গিয়েছি আমরা। সোজা বাউন্ডারি হাঁকাতে না দিয়ে আগাগোড়া ওঁদের ওপর চাপ বজায় রেখে গিয়েছি আমরা।"
"আমরা পাওয়ার প্লে-তেও দারুণ বোলিং করেছি। মাত্র ৩৫-৩৬ রান খরচ হয়েছে। তারপর ম্যাচের মাঝামাঝি আমি এবং অক্ষর টানা চাপ ধরে রেখে গিয়েছি। শেষ চার ওভারে নর্জে এবং মুকেশ দারুণ বোলিং করেছে।"
ব্যাট হাতে দিল্লি ধারাবাহিকভাবে টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েই চলেছে। টানা ব্যর্থ হওয়া পৃথ্বী শ-কে বসিয়ে দেওয়া হয় সোমবারের ম্যাচে। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব নিতে দেখা যায় ইংরেজ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ফিল সল্টকে। তবে তাতেও দুদর্শা ঘোচেনি।
অক্ষর প্যাটেল শেষদিকে ৩৪ করে দিল্লিকে কোনওরকমে ১৪৪-এ পৌঁছে দেন। বল হাতে এরপরে অক্ষর ২১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করে যান। সামান্য এই টার্গেট চেজ করেও হেরে যায় হায়দরাবাদ। ২০ ওভারে ১৩৭/৬ এর বেশি তুলতে পারেনি আইডেন মারক্রামের দল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের ১৩ রান দরকার ছিল। তবে মুকেশ কুমারকে শেষ ওভারে আক্রমণে এনেছিলেন ওয়ার্নার। সার্কেলের মধ্যে একজন অতিরিক্ত ফিল্ডারকে রাখতে হয়েছিল দিল্লিকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভারের কোটা পূরণ করতে না পারায় শাস্তি পেতে হয়েছিল দিল্লিকে। তবে মুকেশ কুমার শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করার ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
কুলদীপ জানাচ্ছেন, "গত ম্যাচেও ও দারুণ বোলিং করেছিল। প্ৰথমবার আইপিএলে খেলতে নেমেছে ও। প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছে। ডেথ ওভারে বল করা মোটেই সহজ নয়।" ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নারের প্ৰশংসায়ও পঞ্চমুখ হয়েছেন কুলদীপ, "ও এখানে সাত বছর খেলেছে। ভালোভাবেই ও কন্ডিশন জানে। সেই কারণেই ও প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিল। উইকেট স্লো ছিল। তাই ও বুঝতে পেরেছিল রান চেজ করা মোটেই সহজ হবে না। বোলিং ইউনিট হিসাবে ও আমাদের ওপর ভরসা রেখে গিয়েছে। আমাদের সকলকে খোলামেলা ভাবে খেলতে দিয়েছে।"
ঘটনা হল, আপাত দৃষ্টিতে কুলদীপের বক্তব্য সাদামাটা মনে হলেও, বারবার কুলদীপ দলের বোলিং নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তবে দলের ব্যাটিং নিয়ে উন্নত করার 'পরামর্শ' দিয়েছেন। দলের টানা পাঁচ হারের জন্য কুলদীপ ব্যাটিং লাইন আপকেই কি দুষলেন, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এরকম মন্তব্যের পরেই।
এপ্রিলের ২৯ তারিখে দিল্লি এবার নিজেদের ঘরের মাঠেই খেলবে হায়দরাবাদের বিপক্ষে।
Read the full article in ENGLISH