/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/cheerleader.jpg)
গুজরাট টাইটান্স চলতি সিজনের প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের প্লে অফে কোয়ালিফাই করেছে। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে বিধ্বস্ত জেরে জিতেছে। হায়দরাবাদের প্লে অফ স্বপ্নে সরকারি সিলমোহরও ফেলে দিল সোমবারের ম্যাচ।
তবে সেদিনই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন আইপিএলের আয়োজকরা। গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময়েই দেখা গেল এক চিয়ারলিডার হাতে স্লিং ঝুলিয়ে নাচানাচি করছেন।
গুজরাটের ইনিংসের ২ এবং ৩ নম্বর ওভার চলাকালীন ক্যামেরা ধরেছিল হায়দরাবাদের চিয়ারলিডারদের। সেখানেই দেখা যায়, এক চিয়ারলিডার আহত অবস্থাতেই নিজের কর্তব্য পালন করছেন। ইনজুরি সত্ত্বেও রেহাই মেলেনি। এমন অমানবিক চিত্র দেখেই নেট দুনিয়া কার্যত একহাত নেয় সংগঠকদের। চোট লাগা সত্ত্বেও কেন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল প্ৰশ্ন উঠে গিয়েছে।
I don't know what to say if money is the problem or shortage of cheer leaders. This is not good or even should be supported by the team. SRH has already fallen in performance but also fallen in Humanity.If cheerleaders are injured they shouldn't be forced to perform. 1 of 2 #IPLhttps://t.co/gyRVuACYq1
— Vijendra Shanbhag (@_vijendra16_) May 15, 2023
Let's take a moment and appreciate SRH batters for not bothering her. pic.twitter.com/0ll6ujvAwa
— Silly Point (@FarziCricketer) May 15, 2023
One cheerleader arm is fractured but BCCI and IPL authorities want her to cheer for SRH.
Such a shame. #GTvsSRHpic.twitter.com/Q55kAX6fpq— Rowan (@JustLikeGon) May 15, 2023
যাইহোক, সোমবার মরণ বাঁচন ম্যাচে নিজেদের রক্ষা করতে পারল না আইডেন মারক্রামের হায়দরাবাদ। প্ৰথমে ব্যাট করে গুজরাটের হয়ে শতরান করে যান শুভমান গিল। প্ৰথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। সেই টুকুই যা হায়দরাবাদ বোলিংয়ের একমাত্র বলার বিষয়। সেই সময়েই যা হায়দরাবাদি চিয়ারলিডাররা কোমড় দোলালেন। বাকি সময় নাচানাচি করার কোনও সুযোগ-ই দেননি গিলরা। শুভমান সাই সুদর্শনের (৩৬ বলে ৪৭) সঙ্গে ১৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। শেষদিকে গুজরাট পরপর উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে হার্দিকরা ১৮৮ তুলে দেন।
সেই রান চেজ করতে নেমে মোহিত শর্মা, মহম্মদ শামির কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসে হায়দরাবাদ। স্কোরবোর্ডে দলগতভাবে হাফসেঞ্চুরি তোলার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। ৫৯/৭ হয়ে যাওয়ার পর হেনরিখ ক্লাসেন এবং ভুবনেশ্বর কুমার ৬৮ রানের জুটিতে দলকে একশো পেরোতে সাহায্য করেন। ডেথ ওভারে শামি ক্লাসেনকে ফেরাতেই ধসে পড়ে সানরাইজার্সদের ব্যাটিংয়ের বাকি লেজটুকু। চারটে করে উইকেট নেন শামি এবং মোহিত শর্মা। হায়দরাবাদের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ৫ উইকেট নেন। ব্যাট হাতেও ভুবি দলের লজ্জা রোধ করেন। তবে তিনি ট্র্যাজিক নায়ক হিসাবেই বিদায় নেন সোমবারের মাঠ থেকে।