এটাই কি ধোনির শেষ আইপিএল হতে চলেছে। বারেবারেই এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে এসেছে আইপিএল চলাকালীন। আর রেকর্ড গড়ে পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ধোনি সেই মঞ্চেই জানিয়ে দিলেন, "এটাই আমার অবসরের সেরা সময়। তবে সর্বত্র যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি। সবথেকে সহজ হত এখান থেকেই হাঁটা লাগানো। তবে কঠিন বিষয় হল, এখনও নয় মাস কঠোর পরিশ্রম করে আরও একটা আইপিএলের প্রস্তুতি নেওয়া। এটা আমার কাছে পুরস্কারের মত। যদিও এই ধকল নেওয়া সহজ নয়।"
একদম শেষ দুই বলে চার, ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড সিএসকেকে রেকর্ড সংখ্যক আইপিএল জিততে সাহায্য করলেন জাদেজা। আবেগের ওপর সংযম রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। জানাচ্ছেন মাহি, "আবেগি হয়ে পড়ছিলাম। সিএসকের হয়ে সিজনের প্ৰথম ম্যাচ খেলার সময় সকলেই আমার নামে চিৎকার করে চলছিল। আমার চোখ ভিজে আসছিল জলে। ডাগ আউটে কিছুক্ষণের জন্য উঠে যেতে হয়। শেষে আমি উপলব্ধি করলাম। গোটা বিষয়টা আমার উপভোগ করা উচিত। আমি যেরকম সেইজন্যই ওঁরা আমাকে এত ভালবাসে। আমি মাটির কাছাকাছি, সেটা ওঁরা পছন্দ করে। যা নই, তা কখনও ভান করার চেষ্টা করি না। এটাই সহজ থাকার মন্ত্র। প্রতিটা আইপিএল ট্রফিই স্পেশ্যাল। তবে আইপিএলের যে জিনিসটা স্পেশ্যাল, তা হল, প্রতিটা চাপের ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে হবে।"
"এদিনও আমাদের খেলায় বেশ কিছু ভুল হয়েছিল। বোলিং বিভাগ ঠিকভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। তবে ব্যাটিং বোলারদের চাপ সরিয়ে দিয়েছিল। আমিও হতাশ হই স্বাভাবিক মানুষের মত। তবে আমি ওঁদের জুতোর পা গলানোর চেষ্টা করে যাই। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেদের মত করে চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। দলে অজিঙ্কা সহ অনেকেই অভিজ্ঞ রয়েছে। কেউ যদি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সহজেই সিনিয়রদের কাছে যেতে পারে।"
এই ম্যাচেই শেষবার খেলতে নামলেন আম্বাতি রায়ডু। ম্যাচের আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, আইপিএল ফাইনাল খেলেই ব্যাট তুলে রাখবেন তিনি। এদিনের ট্রফি জয়ের সঙ্গেসঙ্গেই রায়ডু ইতিহাসে উঠে গেলেন। সর্বাধিকবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিরিখে তিনি আপাতত রোহিত শর্মার সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে। দুজনেই ছয়বার আইপিএল জিতেছেন।
"রায়ডুর সবথেকে ভালো ব্যাপার হল, ও মাঠে থাকলে সবসময় নিজেদের সেরাটা দেয়। তবে ও দলে থাকলে আমি কখনই ফেয়ারপ্লে পুরস্কার পাব না। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয়-এ দল থেকে ওঁর সঙ্গে খেলেছি। ও পেস এবং স্পিন দুটোই সমানভাবে ভালো খেলে। এটা সত্যিই বিশেষ দক্ষতা। আমার মনে হয়েছিল ও এদিন স্পেশ্যাল কিছু করে দেখাবে। ও অনেকটা আমার-ই মত। ফোন-টোন বিশেষ ব্যবহার করে না। আশা করি জীবনের পরবর্তী অধ্যায় ওঁর ভাল কাটবে।"
Read the full article in ENGLISH