আইপিএল ফাইনাল লন্ডভন্ড করল বৃষ্টি। রবিবার প্রবল বৃষ্টির দাপটে এক বল তো বটেই টস-ও হয়নি। রিজার্ভ ডেতে খেলা গড়িয়েছিল। সোমবার ম্যাচের শুরুতেও যেমন বৃষ্টি হল। তেমন দ্বিতীয় ইনিংসে বৃষ্টি আছড়ে পড়ল মাঠে। ওভার কমিয়ে সিএসকেকে জিততে হল ১৫ ওভারে। রান তাড়া করার সময়ে চেন্নাইয়ের ইনিংস শুরু হয়েছিল রাত ১২ টার পর। যে খেলা গড়ায় রাত দেড়টায়।
সিএসকের ইনিংসের প্ৰথম ওভারে ঝেঁপে বৃষ্টি এসে থেমেও গিয়েছিল তবে ভিজে আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হতে বিলম্ব হয়। ভিজে আউটফিল্ড খেলার উপযুক্ত করে তুলতে কালঘাম ছুটল মাঠকর্মীদের। বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম। আর সেখানেই নিষ্কাশন ব্যবস্থা এত দুর্বল, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আইপিএল ফাইনাল।
চলতি বছরেই ভারতে বসছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। এমন প্রেক্ষিতে সরাসরি সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদসংস্থাকে বলে দিয়েছেন, মোদি স্টেডিয়াম ইডেন গার্ডেন্সের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। বৃষ্টি হলে ইডেনের গোটা মাঠই আচ্ছাদিত থাকে। জল জমার প্রশ্নই নেই।
সৌরভের অগ্রজ পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "আইপিএল ফাইনাল পুনরায় চালু করতে দেরি হল, কারণ পিচের প্রান্ত সপসপে ভেজা ছিল। এটা নতুন স্টেডিয়ামে। আগামীদিনে নিশ্চয় পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে। এটা বড় কোনও বিষয় নয়। যদি ওঁরা গোটা মাঠ কভার করত, তাহলে এতটা সমস্যা হত না! পুরোটাই শেখার একটা প্রক্রিয়া। বিশ্বকাপের আগে অবস্থার উন্নতি হবে, এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত।"
স্নেহাশিস আরও বলেন, "আসলে গুজরাট ক্রিকেট সংস্থার মাঠ বালু মাটির। দ্রুত গতিতে জল বের করার সিস্টেমও রয়েছে। তবে সাইড উইকেটে বালির পরিমাণ কম। বৃষ্টি যদি চুঁইয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তবে ওঁরা যদি গোটা মাঠের আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতে পারে, এটা কোনও সমস্যাই হবে না। অতিরিক্ত ৪০-৫০ জনকে নিয়োগ করতে হবে। তাহলেই হবে।"
কতটা খরচ হতে পারে তার-ও হিসেব দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, "দুই বছরের জন্য ৮০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচ হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে মাত্র দু-মাসের মধ্যেই এটা ব্যবস্থা করা সম্ভব। এতে মাঠ দ্বিস্তরীয়ভাবে সুরক্ষিত থাকবে।"
আসন্ন ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ইডেন গার্ডেন্স মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ের সঙ্গে আইপিএলের যুগ্ম সেরা মাঠ নির্বাচিত হয়েছে। স্নেহাশিস যদিও জানাচ্ছেন, "আমি জানতে পেরেছি ইডেন যুগ্ম সেরা মাঠ নির্বাচিত হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনও জানতে পারিনি। সরকারিভাবে কনফার্মেশন পেলেই একমাত্র ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে মন্তব্য করতে পারব। অতীতে আমরা বিশ্বকাপের বড় বড় ম্যাচ আয়োজন করেছি- ১৯৮৭ ফাইনাল, ১৯৯৬-র সেমিফাইনাল, ২০১৬-র ভারত-পাকিস্তান। আসন্ন ওয়ার্ল্ড কাপেও আমরা ভালোভাবে ম্যাচ আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর।"