GT vs CSK (Gujarat vs Chennai) IPL 2023 Qualifier 1 Match Report:
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৭২/৭
গুজরাট টাইটান্স: ১৫৭/১০
প্লে অফে পৌঁছে গেলে সিএসকে ভয়ঙ্করতম দল। কেন? তার সার্থক উদাহরণ হয়ে থাকল মঙ্গলবারের প্ৰথম কোয়ালফায়ার। নিজেদের ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টের লিগ পর্যায়ের অপ্রতিরোধ্য গুজরাটকে মাটি ধরিয়ে জিতল চেন্নাই। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই স্কোরবোর্ডে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করল। তারপর স্পিনারদের লেলিয়ে দিয়ে হার্দিকদের ধরাশায়ী করলেন ধোনি।
চিপকের স্লো হয়ে যাওয়া পিচে জাদেজা, থিকসানারা কতটা কঠিনতম কাজ হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ঋদ্ধিমান, হার্দিকরা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই থিকসানা, দীপক চাহার ঋদ্ধিমান সাহা এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে আউট করে চেন্নাইকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরে শুভমান গিল শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে টানছিলেন দলকে। ৩১ রানের ছোটখাটো পার্টনারশিপে ক্রিজে উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে চাইছিলেন গিল। তবে জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে কার্যত উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন শানাকা। শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডারকে আউট করে ব্রেকথ্রু দেওয়ার পর জাদেজার শিকার হয়ে ফিরে যান ডেভিড মিলার-ও।
তখনও গুজরাটের ক্রিজে গিল একপ্রান্ত আটকে খেলে চলেছিলেন। তবে দীপক চাহার দ্বিতীয় স্পেলে এসেই গিলকে (৩৮ বলে ৪২) আউট করার পরে গুজরাট ইনিংস কতক্ষণ লড়াই চালাতে পারে, সেটাই দেখার ছিল। তবে ১৫৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইটান্স বাহিনী। শেষদিকে রশিদ খান ১৬ বলে ৩০ করে আশা জাগালেও তা যথেষ্ট ছিল না।
টসে জিতে হার্দিক পান্ডিয়া প্রথমে চেন্নাইকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন। বরাবরের মত সিএসকেকে শুরুতেই দারুণ ওপেনিং উপহার দেন ডেভন কনওয়ে (৩৪ বলে ৪০) এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড (৪৪ বলে ৬০)। কনওয়ে প্ৰথমদিকে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও মসৃণ গতিতে ইনিংস টেনে নিয়ে যান রুতুরাজ। নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরিও করে যান গায়কোয়াড। গায়কোয়াড আউট হয়ে যাওয়ার পর সিএসকের বাউন্ডারি শুকিয়ে যায় ধীরে ধীরে। তবে অজিঙ্কা রাহানে (১০ বলে ১৭) দুরন্ত ক্যামিও শেষমেশ চেন্নাইকে উদ্ধার করে। শেষদিকে, আম্বাতি রায়ডু (৯ বলে ১৭), মঈন আলি (৪ বলে ৯) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (১৬ বলে ২২) চেন্নাইকে ১৭২ পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
পাওয়ার প্লে-তে গুজরাট এই সিজনের অন্যতম ধারাবাহিক দল। মঙ্গলবার-ও শামি সিএসকের বিপক্ষে প্ৰথম ওভারে দারুণ বোলিং করে যান। চলতি সিজনের প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নামা দর্শন নালকান্দে নিজের প্ৰথম ওভারের প্ৰথম বলেই রুতুরাজকে আউট করে দিয়েছিলেন। তবে শেষমেশ নো বলের কারণে সেই আউট বাতিল হয়। সেই নো বলের পরেই সম্ভবত ছন্দ হারিয়ে ফেলে গুজরাট। পাওয়ার প্লে-তে প্রচুর রান খরচ করে বসে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। মিডল ওভারে আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে মোহিত শর্মা, রশিদ খান, নূর মহম্মদরা দারুণভাবে ফিরে আসে।
তবে শেষদিকে ফের একবার মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলে গুজরাট। শেষ ৩ ওভারে চেন্নাইয়ের স্লো পিচে সিএসকে ৩৫ রান যোগ করে যায়। গুজরাটের হয়ে সফলতম বোলার মহম্মদ শামি। ২৮ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন তিনি।
আইপিএলের ইতিহাসে মঙ্গলবার ম্যাচের আগে কখনও গুজরাট অলআউট হয়নি। ধোনিরা সেই কাজটাও করে ফেললেন।